বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তামাকের দাম বেশি হলে তরুণ জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার শুরু করতে নিরৎসাহিত হবে এবং বর্তমান ব্যবহারকারীরাও তামাক ছাড়তে উৎসাহিত হবে। বাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠির ৪৯ শতাংশই তরুণ। অর্থাৎ তরুণরাই এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল নিয়ামক শক্তি। এই বিশাল তরুণ সমাজকে তামাকমুক্ত রাখার জন্য সকল তামাকপণ্যের কর ও দাম বাড়িয়ে তরুণদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
এ মন্তব্য করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি লে. কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।
সম্প্রতি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত করোনা সংলাপ বিষয়ক অনলাইন মিডিয়া আলোচনায় তিনি আরো বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে এখন থেকেই তামাকের ব্যবহার দ্রুতহারে কমাতে হবে এবং এক্ষেত্রে উচ্চ করারোপের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর আবেদন করেন এবং বলেন, তামাক কোম্পানীর টার্গেট শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ। তাই আসন্ন বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চ হারে কর আরোপ করে এ সকল দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে তামাকজাত দ্রব্য শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং এ সকল দ্রব্য এদের কাছে অপ্রয়োজনীয় করে তোলা।”
উল্লেখ্য, যারা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করছেন তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশী এবং এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীদের বিশেষভাবে সর্তক করা হয়েছে। কারণ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীদের হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ও অন্যান্য অংঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতি সাধিত হয়ে থাকে বিধায় করোনা ভাইরাস খুব সহজে তাদের আক্রমন করতে পারে। এ সময়ে তামাক কোম্পানীর উৎপাদন ও বিপনণ চলমান থাকায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং করোনা সংক্রমরোধে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মহামারীকালীন সময়ে তামাক কোম্পানীর বিপণন কার্যক্রম বন্ধ রাখায় জোর সমর্থন জানান। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক সিগারেট বা ভ্যাপিং টোব্যাকো জাতীয় জনস্বাস্থ্যের হুমকি স্বরূপ দ্রব্যসমূহ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।