জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের এক ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভু্ক্তভোগী ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগটি জেলা প্রশাসক ফৌজদারি অপরাধ বিধায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠান। পরে পুলিশ সুপার সদর থানাকে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে “গড়পাড়া কেবল টিভি নেটওয়ার্ক” এর মালিক ব্যবসা করছেন। ভুক্তভোগী ওই মালিক “উইঙ্ক নেটওয়ার্ক” ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সদর থানায়; ইন্টাননেট সেবার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ভুক্তভোগী গত ১৪ জুন মহব্বত খান (৪০) এবং তার সহযোগী আবু সাহদাত মো. তৌহিদ (৪৪), অর্জন (৩৮), প্রশান্ত সাহা (৩৮), সুমন মল্লিক (৪৫), মো. উজ্জল (৪৮), ছারোয়ার উদ্দিন ওরফে আলী (৪৫) উভয় সাং স্বাদীনগর পাঞ্জানখাড়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ৩নং আসামী অর্জন ভুক্তভোগী সৈয়দ আহমেদ তাওহীদ নোয়াব ও তার বন্ধু মুনকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়। এবং প্রধান অভিযুক্ত ভুক্তভোগী কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আর চাঁদার টাকা না দিলে মেরে লাশ গুম করার হুমকিও দেয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গড়পাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় ইন্টারনেট লাইনের ফাইবার তার কেটে ফেলা হয়েছে। এবং ৪০/৪৫ পিস মূল্যবান ইন্টারনেট ডিভাইস জোর পূর্বক নিয়ে গিয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা। প্রায় শতাধিক গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে, ফলে গ্রাহকগণ ভোগান্তিতে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মহব্বত খান বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। তাদের কাছে কোনো প্রকার চাঁদা দাবি করা হয়নি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিব্বুজ্জামান জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।