বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ই-সিগারেট নিষিদ্ধে গণমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে- ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত করোনা সংলাপ পর্ব-১৯ শিরোনামের একটি অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে এই আহবান জানানো হয়।
গত রোবরার (৫ জুলাই ) রাত ৯টায় “ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করণে গণমাধ্যমের করনীয়” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইর সিনিয়র বার্তাসম্পাদক মীর মাসরুর জামান, প্রিভেন্টটিভ মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য টিভির নিবার্হী সম্পাদক ডা. ফাহিম আহমাদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান।
মীর মাসরুর জামান বলেন, ই-সিগারেট মানবদেহের ফুসফুস ক্যান্সার ছাড়াও অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ অঙ্গেও ক্ষতি করে থাকে যা বিবেচ্য বিষয়।
তিনি বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সিএসআর এর নামে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য লোক চক্ষুর অন্তরালে নানা প্রপাকান্ডা পরিচালনা করে থাকে। অনেক সময় মিডিয়া বুঝে না বুঝে তাদের এসকল প্রপাকান্ডার প্রচার করে থাকে- এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।
ডা. ফাহিম আহমাদ বলেন, ই-সিগারেটে ৭ হাজার রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে যার মধ্যে সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ৭০টি রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি রয়েছে।অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে ই-সিগারেট এর স্বাস্থ্য ক্ষতির পরিমান কম বা হয়না। আমাদের জানতে হবে নিকোটিন ব্যতিত কোন তামাক পণ্য হয় না তাই ই-সিগারেটে নিকোটিনতো রয়েছেই। এছাড়া আরো অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ রয়েছে, যা মানব দেহের জন্য আরো বেশী মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, ধূমপানকে মাদকদ্রব্য গ্রহনের গেটওয়ে বা দরজা বলা হয়।একজন যুবকের ধূমপান থেকেই মাদক গ্রহনের হাতে খড়ি হয়ে থাকে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক বিরোধি জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে মাদকের পূর্বে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাক জাত দ্রবের উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, উপস্থিত সকল সাংবাদিকগণ বিশ্বাস করেন ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে যদি না সকল মিডিয়া একযোগে কাজ করে। তাই দেশের যুব সমাজকে রক্ষার্থে গণমাধ্যম,সরকার ও জনসাধারণকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সূত্র: মোহাম্মদ রুবায়েত- মিডিয়া ম্যানেজার, স্বাস্থ্য সেক্টর- ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।