বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ১৫ জুলাই আমেরিকায় ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৩)।
পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশি তরুণ প্রতিভাবান টেক এন্টারপ্রেনিউর ফাহিম সালেহ’র হত্যাকারী তারই সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিল (২১)।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ এর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দি নিউ ইয়র্ক টাইমস ও নিউ ইয়র্ক পোস্ট সহ কয়েকটি মিডিয়া।
হত্যাকারী ফাহিম সালেহ’র প্রতিষ্ঠিত ‘অ্যাডভেঞ্চার’ ক্যাপিটালে কাজ করতো। অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র সবকিছু দেখভালের সুযোগ নিয়ে টাইরেস প্রতিষ্ঠানটি থেকে কয়েকশ হাজার ডলার সরিয়ে নেয়। সেটা বুঝতে পেরে পরোপকারী ফাহিম থানা-পুলিশ না করে টাইরেসকে সেই অর্থ কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়। কিন্তু সে ফাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে!
সেই মোতাবেক ফাহিম সালেহ’র সঙ্গে তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে টাইরেস প্রথমেই তাকে অচেতন করে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে! পরদিন আবারো ঐ ফ্ল্যাটে যেয়ে হত্যাকান্ডের সমস্ত আলামত মুছে ফেলতে ফাহিম সালেহ’র শরীরের বিভিন্ন অংশ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে। হত্যাকারীর ইচ্ছা ছিলো ডেডবডি গার্বেজ করে হত্যার আলামত মুছে ফেলা। কিন্তু খুনী যখন ফাহিম সালেহ’র শরীরের টুকরো ব্যাগে ভরছিলো, ঠিক তখন তার বোন ফাহিম সালেহকে ফোনে না পেয়ে ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকছিলেন।
তার বোন অ্যাপার্টমেন্টের লবিতে পৌছালে খুনী বিষয়টি টের পেয়ে যায়। তখনই সে অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের দরজা ও সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে যায়! পুলিশ জানিয়েছে হত্যাকারীর গত কয়েকদিনের কেনাকাটার রেকর্ড যাচাই করে তারা দেখেছে টাইরেস তারই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে একটি ইলেক্ট্রিক করাতও কিনেছিলো কিছুদিন আগে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে পুলিশ ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেসকে গ্রেপ্তার করেছে।