বিডি মেট্রোনিউজ॥ প্রিয় ‘সন্জীদা আপা’র জন্মদিনে তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন তাঁরই অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী এবং ছায়ানটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দিনটিতে ভক্তরা তাঁকে গানের ভেতর দিয়ে সুরের মালায়, কবিতার শানিত ভালোবাসায় জড়িয়ে নিলেন। সন্জীদা খাতুনের বসার কক্ষটির একপাশেই ছিল সিঙ্গাড়া, সমুচা, পিঠা, পায়েস, মিষ্টান্নসহ চা-কফির আয়োজন। চায়ে চুমুক দিয়ে কেউ শুনিয়েছেন কবিতা, কেউ শুনিয়েছেন গান।
৮৪ তে পা রাখলেন ছায়ানটের প্রাণমাতা সন্জীদা খাতুন। তার বাসার ড্রইংরুমটি মানুষের আনাগোনায়, গানের সুরে, কবিতায় ভরে উঠেছিল। গতকাল সোমবার তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও প্রিয় সুহূদরা ঠিকই গিয়েছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। ভালোবাসা জানাতে।
চুরাশিতে পৌঁছেও বদলে যাননি সন্জীদা খাতুন। শরীরে বয়সের ছাপ কিন্তু মনে যেন এখনো তারুণ্যের প্রাণোচ্ছলতা। বাংলাদেশের অহঙ্কার তিনি। শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত এক নাম। শুধুই কী বাংলাদেশের? প্রতিটি বাঙালিরও কী নয়! বাঙালিত্বের বোধকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার, আপন সংস্কৃতির শক্তিতে বিকশিত করার প্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন সারা জীবন ধরে। তাঁর চলায়, বলায় — অশিক্ষা, কূপমণ্ডূকতা দূর করে মানুষের মনে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাতিঘর জ্বালাতে নিরন্তর সাধনা করে চলেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকতার বাইরে ঘরোয়াভাবে অতিবাহিত হয় আনন্দের এ দিনটি। মূলত পরিবারের আপনজনের সঙ্গেই কেটেছে দিনটি। সুহূদরা ঠিকই হাজির হয়েছেন সন্জীদা খাতুনের ধানমন্ডির বাসায়। প্রিয় মানুষটিকে জানিয়েছেন ফুলেল শুভেচ্ছা। কেউ বা তাঁকে নিবেদন করে গেয়েছেন গান। আবার কেউ বা শুনিয়েছেন তাঁর পছন্দের কবিতাটি। সব মিলিয়ে আনুষ্ঠানিকতার বাইরেও প্রিয়জনদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন জন্মদিনে।