চুল থেকে নখ, সবের জন্য খান বিট

মেট্রো নিউজ : নাক সিঁটকবেন না। বরং মন খুলে খান বিট। বিটের খ্যাতি তার রঙের জন্য। মাটির তলার সবজিটির কথা মনে পড়লেই চোখে ভাসে তার ‘শকিং পিঙ্ক বা ডিপ গোলাপি’ রংটি। বিটের এমনই ক্ষমতা যে রান্নায় এক টুকরো বিট দিলে পদটি বিটের রং নিয়ে নেয়। কিসের কারণে বিটে এমন রঙের বাহার?

বেটানিন নামে এক পিগমেন্টের উপস্থিতির জন্যই বিটের রং ‘ডিপ গোলাপি’। প্রাকৃতিক ডাই বা ফুড কালার হিসেবে তাই ব্যবহার করা হয় বিট।

এই সবজিটির সঙ্গে কিন্তু যোগাযোগ আছে রোমানদেরও। ভাবছেন গৌরচন্দ্রিকা করছি। সবুর করুন। ১৯ শতকে রোমানদের হাত ধরে প্রথম বার ইউরোপে শুরু হয় বিটের চাষ।

বিট খেলে মিলবে কী?

• মাটির তলার এই সবজির মধ্যে শর্করার উপস্থিতিও অনেকটাই বেশি। তাই আখ ছাড়া বিটের নির্যাস থেকেও মেলে চিনি।

• শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সক্ষম বিট। রক্ত থেকে টক্সিক উপাদান বের করতে সাহায্য করায় লিভার ঠিক রাখতেও সাহায্য করে বিট।

• নিয়মিত বিটের রস খেলে বাড়ে রক্তে লাল কণিকার সংখ্যা। যা স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই মাংসপেশীতে অক্সিজেনের চলাচল বাড়াতে অ্যাথলিট এবং দৌড়বীরদের বিটের রস খাওয়ার কথা বলা হয়।

• শর্করার হার বেশি থাকলেও বিটে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। তাই বিট খেলেও ক্যালরি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ওজন না বাড়িয়েও শরীরে পুষ্টির যোগান ঠিক রাখতে বিটের বিকল্প নেই।

• বিটে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি। বিটের মধ্যে থাকা পলিফেনল নামে অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ক্ষতিকারক কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের হার কমায় বিট। ভাল রাখে আপনার হৃদযন্ত্র।

• বিটের নির্যাসে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকার কারণে নাইট্রিক অক্সাইড নামে গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাস রক্ত কণিকাগুলি প্রসারিত করতে সাহায্য করে। মানব শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক রেখে ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার হৃদয়ের বন্ধু হিসেবে ডায়েটে আজই বিটকে রাখুন।

• শুধু শর্করাই নয় বিট থেকে মেলে লোহা, পোট্যাসিয়াম এবং ম্যাগনাসিয়াম প্রভৃতি খনিজ পদার্থ। মেলে ফাইবারও, যা পাচনতন্ত্রের কাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিটে থাকা ভিটামিন সি ইম্যুনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

• চুলের জন্যও খুব উপকারী বিটের রস।

• লোহা, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, কে এবং সি-তে সমৃদ্ধ বিটের পাতাগুলিও, তাই বিটের কোনও কিছুই যায় না ফেলা।

তাই এই শীতে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঠিক রাখতে আর দূরে সরিয়ে রাখবেন না মাটির তলার এই সবজিকে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts