মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা ॥ ভোলায় এবছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে অন্য এলাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারে। উৎপাদন ভালো হলেও পরিবহন খরচ বেশি এবং দাম কম পাওয়ায় সন্তুষ্ট হতে পারছেন না কৃষক।
ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় এ বছর সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। বেশি তরমুজ উৎপাদন হয়েছে চরফ্যাশনে। হঠাৎ বাজারে তরমুজের দাম ওঠানামা করায় ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় লাভ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে কৃষকের।
কালাম, মিজান, খলিল ও নাছির নামের একাধিক কৃষকরা জানান, আগে ছিল ২০ হাজার টাকা, এখন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার নিচে গাড়ি পাওয়া যায় না। মাল (তরমুজ) ক্ষেতে পঁচে যাচ্ছে। এদিকে বেশী দামের আশায় অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে এখনো তরমুজ তোলেননি। তবে বৃষ্টির মৌসূম আসার আগেই তরমুজ বিক্রির পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
ভোলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র বলেন, ভোলা জেলার মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলনও ভালো হয়েছে। পরিবহন সংকটের কারণে কৃষক ঠিকমতো বাজারজাত করতে পারছে না। আমরা কৃষককে তাড়াতাড়ি তরমুজ বাজারজাত করতে পরামর্শ দিয়েছি।
ভোলা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকের লাভ কম হচ্ছে। তারপরও আগাম বৃষ্টি চলে আসাতে আমরা কৃষককে পরামর্শ দিয়েছি তারা যাতে দ্রুত বাজারজাত করে। গত মৌসূমে ভোলায় প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছিলো।