হাফিজুরের বাবা রিপন একজন রিকশা চালক। বানারীপাড়া পৌরসভার টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকার বাদলা মৃধার বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। বাদলার স্ত্রী নূপুর বেগম ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে জানিয়েছেন ওসি।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজেদের ঘরে কাঁদছিল হাফিজুর। কান্নার শব্দে ক্ষিপ্ত হয়ে নূপুর এসে তাকে আছাড় দিলে বুক ও মাথায় আঘাত লাগে।
শিশুটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
“অর্থিক সঙ্কটের কারণে রিপন তার ছেলেকে ঢাকায় নিতে না পেরে আবার উপেজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
নূপুর বেগমকে আটক করার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।