জাপানের পর ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে নিহত ৭৭

বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ইকুয়েডরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের মুসিন শহরে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। নিহতের সংখ্যা ৭৭ বলে জানা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো পাঁচ শতাধিক লোক। নিহতের সংখ্যা  আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৯৭৯ সালের পর এটিই ইকুয়েডরে সবচেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্প। দেশটির ছয়টি প্রদেশে ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে নামানো হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব  বিবেচনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া তার ইতালি সফর সংক্ষেপ করে দেশে ফিরেছেন এবং তিনি নাগরিকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূগর্ভের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে এটি আঘাত হানে।সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, পর পর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। প্রথমটি ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার এবং পরেরটি ছিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার।

মাত্র একদিন আগে জাপানে পরপর দু’বারের ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসংখ্য বাড়ি মাটিতে মিশে গেছে। বহু লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। এ জন্য হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা।স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ৭.৩। এর আগের দিনই দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বীপ কিয়ুসুর কুমামোটো অঞ্চলে ভূমিকম্পে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রথম ভূকম্পের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৫। দ্বিতীয় ভমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।  হাজার দেড়েকের বেশি সেনা নেমেছে উদ্ধারকাজে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts