বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। গত ২৯ জানুয়ারি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিকৃতি গড়ার কাজ শুরু হয়েছিলো।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) এ প্রকল্পের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাগ্রোকেয়ার ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেডের পরিচালক ইয়ালিদ বিন রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ই মেইল বার্তায়এ তথ্য জানিয়েছে।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গ্রিনেজ ওয়াল্ড রেকর্ডে যে অর্জন আমরা করলাম এটা পুরো দেশের মানুষের অর্জন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তার দিকনির্দেশনায় সার্বিকভাবে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে হাত দিয়েছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ফুটে তুলতে গত ২৯ জানুয়ারি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে প্রায় ১’শ বিঘা জমিতে (১২শ’ বর্গমিটার) চীন থেকে আনা ডিপ ভায়োলেট রঙের হাইব্রিড ও দেশের ডিপ গ্রিন ধানের চারা রোপণ করা হয়। এখন সেই চারাগুলো বড় হয়ে তাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখা যাচ্ছে।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে ন্যাশনাল অ্যাগ্রোকেয়ার ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিকৃতি তৈরির কাজ শুরু করে।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান দিতে গত বছর থেকে কাজ শুরু হয়। চীন থেকে আমদানি করা হয় বেগুনি রঙের (এফ-১) ও দেশি সবুজ হাইব্রিড ধানের চারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক ছিলেন। এ শস্যচিত্রের জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সাত মাসের জন্য ১০০ বিঘা জমি ইজারা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পরিদর্শনে ৯ মার্চ মঙ্গলবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের প্রকল্প এলাকায় যান।
তারা কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে সকল শর্ত পূরণ হয়েছে। চীনে শস্যচিত্র ছিল ৭৫ বিঘা জমিতে আর এখানে ১০০ বিঘা জমিতে। কোনো কৃত্রিমতা নেই।
ড্রোন ব্যবহার করে ম্যাপ করে স্কেচ তৈরির পর টানা দেড় মাস ধরে চলছে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। আশপাশের অর্ধশতাধিক কিষান-কিষাণি, ১০০ রোভার স্কাউট সদস্য এই কর্মযজ্ঞে যোগ দেন। যাদের নেতৃত্ব দেন আটজন কৃষি প্রকৌশলী ও কৃষি কর্মকর্তারা। এছাড়া এতে কাজ করেছে শস্যে কীটতত্ত্ব-রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যসহ আরও অনেকে।