এসি কিনে ২০০% ক্যাশব্যাক, ফ্রি হোম ডেলিভারি ও ইন্সটলেশন পাওয়ার সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোজার সময় অসহনীয় গরমে অতীষ্ঠ সবাই। অসহ্য গরমে প্রশান্তি দিতে প্রস্তুত ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনার (এসি)। গরম এবং লকডাউনে হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে দেশসেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি। এদিকে বেশি উৎপাদন, বেশি বিক্রির সুবাদে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষও ক্রেতাদের দিচ্ছে আকর্ষণীয় বেশ কিছু সুবিধা। ইতোমধ্যে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভয়েস কমান্ড বা কথা বলা এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন।
এবছর ভয়েস কমান্ড, আয়োনাইজার, এন্টি ভাইরাল, ফ্রস্ট ক্লিনের মতো অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ নতুন মডেলের ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বাজারে এনেছে ওয়ালটন। এসব এসিতে রয়েছে আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক ও ছাড়ের সুবিধা। ক্রেতারা ঘরে বসে ফোন করলেই কাছাকাছি প্লাজা অথবা ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধায় ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তাই এই গরমে গ্রাহকচাহিদা ও বিক্রিতে শীর্ষে এখন ওয়ালটন এসি। যার প্রেক্ষিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ওয়ালটন এসি’র বিক্রি বেড়েছে ৪৫০ শতাংশ বা সাড়ে চারগুণ ।
জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১০ এর আওতায় ওয়ালটন এসির ক্রেতারা পাচ্ছেন ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, ফ্রি ইন্সটলেশন ও হোম ডেলিভারির সুবিধা। এছাড়া নির্দিষ্ট মডেলের এসি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে কেনার সুযোগ রয়েছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ১ বছরের ইএমআই এবং ৩৬ মাস পর্যন্ত সহজ কিস্তিু সুবিধা।
সারা দেশে চলমান লকডাউনে ক্রেতারা ফোন করলেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটনের দক্ষ কর্মকর্তাগণ গ্রাহকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন এসি। এক্ষেত্রে ক্রেতারা ওয়ালটনবিডি’র পেইজ থেকে এসি পছন্দ করার পর ক্রয়ের জন্য ‘Buy Now from distributor’ অপশনটির মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। আবার ‘Buy Now from eplaza’ অপশনের মাধ্যমে অনলাইনে পছন্দের এসিটি অর্ডার করতে পারবেন।
ওয়ালটন এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ঘরের সুরক্ষায় ডুয়েল ডিফেন্ডার, আয়োনাইজার, ইউভি (আল্ট্রা ভায়োলেট) কেয়ার প্রযুক্তি সম্বলিত এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নতুন মডেলের এসব এসি গ্রাহকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেইসঙ্গে এসি ক্রয়ে ক্রেতাদের ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, ফ্রি হোম ডেলিভারি ও ইন্সটলেশন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মূলত এসব কারনে এ বছর ওয়ালটন এসির বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। ইতিমধ্যে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এসি বিক্রিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪৫০ শতাংশ।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, স্থানীয় বাজারে এবছর ইউরোপিয়ান ডিজাইনের অত্যাধুনিক ফিচারের ১ টন, ১.৫ টন ও ২ টনের নতুন মডেলের স্প্লিট টাইপ এসি ছেড়েছে ওয়ালটন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হচ্ছে ইনভার্টার প্রযুক্তির সুপারসেভার ইনভার্না এসি। এক টনের ইনভার্না এসিতে ইকো-মুডে প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ মাত্র ২ টাকা ৮৮ পয়সা। যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট কর্তৃক সার্টিফাইড।
এছাড়া ওয়ালটনের এই এসিতে আছে আইওটি বেজড স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্মার্ট এসি অন/অফ, তাপমাত্রা বাড়ানো বা কমানো ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পাশাপাশি এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিদ্যুৎ বিল কত আসছে? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসর ওভারলোডে চলছে কী না? এসব তথ্যও সহজেই মনিটর করার সুযোগ রয়েছে। বাজারে ওয়ালটন স্মার্ট ইনভার্না এসি পাওয়া যাচ্ছে ৪৯ হাজার ৯’শ টাকা থেকে ৭৭ হাজার ৪’শ টাকার মধ্যে।
বাজারে রয়েছে ওয়ালটন ওশেনাস সিরিজের ভয়েস কমান্ড কন্ট্রোল সমৃদ্ধ নতুন মডেলের এসি। একে সবাই বলছেন কথা বলা এসি। এটি বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই ‘হ্যালো ওয়ালটন’ বললে এসির ‘একটিভ মোড’ অন হবে। এরপর ‘এসি স্টার্ট’ বললে এটি চালু হবে। কথার সঙ্গে ফিডব্যাক সাউন্ড হয় এসি থেকে। ব্যবহারকারী ভয়েস কমান্ড অর্থাৎ কথার মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে এই এসি পরিচালনা করতে পারেন।
ওয়ালটনের এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বা আরএন্ডডি’র বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ইনভার্টার প্রযুক্তির ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এতে রয়েছে আয়োনাইজার ও এন্টিভাইরালের সমন্বয়ে ডুয়েল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি। ওয়ালটনের এসব এসি ঘরের ভেতর ছড়িয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, দুর্গন্ধ ও ধোঁয়া কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া ফ্রস্ট ক্লিন প্রযুক্তি ব্যবহারে এসির ইভাপোরেটরে জমে থাকা ধূলা-বালি ও ময়লা এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিস্কার করতে পারে। ফলে এসির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণও অনেক নির্ঝঞ্জাট হয়েছে।
ওয়ালটন এসিতে আছে সিএফসি (CFC) গ্যাসমুক্ত বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৪১০এ (R410a) ও আর-৩২ (R-32) রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড, যা রুমকে দ্রুত ঠান্ডা করে। এছাড়া ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন ব্যবহার করায় ওয়ালটন এসি অনেক টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
স্প্লিট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনফারেন্স হলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট এবং সিলিং টাইপ এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। শিগগিরই একই টাইপের ২ ও ৩ টনের এসি উৎপাদন শুরু করা হবে। এছাড়া বড় স্থাপনার জন্যও ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার এসি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়ালটন এসি আইএসও-১৭০২৫ অনুসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পর বাজারজাত করা হয়। তাই এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিকমানের এসি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। পাশাপাশি প্রায় ৩০০ সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। এদিকে ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।
#