বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম জামিনে মুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সমাজ।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) আহ্বানে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ৫টি সংগঠন ও সিনিয়র সাংবাদিকের যৌথ সভা থেকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পর রোববার রাষ্ট্রের তরফে জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করা এবং পুরো বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাঁচটি সাংবাদিক সংগঠন ও সিনিয়র সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২৩ মে) এক বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি এবং গোয়েন্দা পুলিশকে এ মামলা তদন্তের নামে আর হয়রানি না করার আহবান জানান।
একই সঙ্গে গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের সঙ্গে অনভিপ্রেত ঘটনার পর সারাদেশের সাংবাদিক সমাজ নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় যেভাবে খরতাপ উপেক্ষা করে আন্দোলন লড়াই করে রোজিনা ইসলামকে মুক্ত করেছেন তার জন্য সাংবাদিক সমাজের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
বিবৃতিতে সাংবাদিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ অবিলম্বে সংসদে পাস ও ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, ব্রডকাষ্ট জার্নালিষ্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজানুল হক রাজা ও সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভুইয়া ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকারিয়া কাজল, ডিইউজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
রোববার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে রোজিনার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে স্বজনরা কাশিমপুর কারাগার ফটকে রোজিনার মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন।
রোববার বিকাল ৪টা ১৮ মিনিটে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।