কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী মারা গেছেন

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী আর নেই। সোমবার (২৪ মে) রাত ১২টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান।

গেল কয়েক মাস ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২৭ এপ্রিল তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) রাখা হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মরদেহ সর্বস্তরের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য বাংলা একাডেমিতে আনা হবে। এছাড়াও ধানমন্ডিতে তার বাসভবন সংলগ্ন মসজিদে তার একটি জানাজা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরে তার জন্ম। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক পাস করেন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবিতার জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০), মহাদিগন্ত পুরস্কারসহ (২০১১) বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী ৩৩টি কাব্যগ্রন্থ, ১০টি ছড়ার সংকলনসহ লিখেছেন দুটি উপন্যাস, স্মৃতিকথা ও অসংখ্য প্রবন্ধ।

তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো- ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘মধ্যরাতে দুলে ওঠে গ্লাশ’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘সিংহদরজা’, ‘জয় বাংলা বলোরে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘কতো কাছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’ ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’ ইত্যাদি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts