বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা সংক্রমণের সংকটময় পরিস্থিতিতে আগামী ১২ জুলাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ধর্মীয় উৎসব ও রথ টানা মন্দিরাঙ্গনে সীমিত রাখা হবে।
রোববার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সহসভাপতি পূরবী মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব দে, সহ-দপ্তর সম্পাদক সুবল ঘোষ, সদস্য বিশ্বজিৎ সাহা বিশু প্রমুখ।
করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২২ জুন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শিক্ষক দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস ও তার ভাই আশীষ কুমার বিশ্বাসের বাড়ির পানির ট্যাঙ্কে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাঁচুরিয়া গ্রামের স্বপ্না বিশ্বাসের বাড়িতে রান্নায় ব্যবহূত হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে বিষাক্ত পাউডার মিশিয়ে দিয়ে তাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২৪ জুন সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের জনৈক ফাহিম আহমেদ লোকনাথ মন্দিরে বিগ্রহের ওপর পা রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সনাতন ধর্মের অবমাননা করেছেন। এতে এই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, শেরপুর, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, সুনামগঞ্জের শাল্লা, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলায় প্রধান অভিযুক্ত স্বাধীন মেম্বার জামিনে ছাড়া পেলেও নির্দোষ ঝুমন দাস আপন এখনও কারান্তরীণ থাকায় ক্ষোভ জানিয়ে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান নেতারা।