বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জুলাই মাস থেকে আবারো ব্যাপক গণভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হবে। সংসদে বাজেট আলোচনায় এই আশার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আশা, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সামনে আর কোন সমস্যা হবে না, কারণ চীন এবং রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ভারতে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় ভ্যাকসিন পেতে সাময়িক সমস্যা হয়েছিলো বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ফাইজারের যে ভ্যাকসিন আছে তা বিদেশগামীদের দ্রুত দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, করোনাকালে ১৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের ১৫.২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা হবে।
ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়ার বয়সের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষায় যারা আছেন, সবাই যেন ভ্যাকসিন পায় এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি, সে ব্যবস্থা নেবো। সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানব সম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মহামারির শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার গৃহ আমার স্কুল, ঘরে বসে শিখিসহ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দুরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছি। শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আমরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে সক্ষম হবো। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হবে।