বাংলাদেশে এই প্রথম আন্তর্জাতিকমানের ইমার্জেন্সি মেডিসিনের ফেলোশিপ সার্টিফিকেট কার্যক্রম

খন্দকার জাফর আহমদ: যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে এই প্রথম বারের মতো এক বছর মেয়াদি আন্তর্জাতিক মানের ইমার্জেন্সি মেডিসিনের ফেলোশিপ সার্টিফিকেট (সিপিইএম) কার্যক্রম শুরু হলো। বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশের যে কোনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসক তৈরিতে এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি অডিটরিয়ামে প্রোগামটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার নতুন উদ্যোগ ‘পেন গ্লোবাল ইমার্জেন্সি মেডিসিন প্রোগ্রাম’র আওতায় অন্যান্য দেশের মতো এই আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেটের ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিন আহমেদের সন্তান, যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার অধ্যাপক ডা. নাহরীন আহমেদ।

বাংলাদেশে সিপিইএম প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আব্দুল হানিফ টাবলু বলেন, বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশে জরুরি বিভাগে আগত রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই ফেলোশিপ কোর্স বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

জানা গেছে, এক বছর মেয়াদি এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামে ২ মাস অন্তর অন্তর দুই সপ্তাহের জন্য আমেরিকা থেকে অধ্যাপকগণ বাংলাদেশে এসে চিকিৎসকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। বছর শেষে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে কৃতকার্যদের আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। প্রতিবছর মাত্র ২০ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে যারা পরবর্তীতে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে কাজ করবেন। সরকারি চিকিৎসক ছাড়াও কিছু বেসরকারি হাসপাতালের এবং সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও সুযোগ দেয়া হবে।

বাংলাদেশে এই প্রোগ্রামের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আব্দুল হানিফ টাবলু। প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর যুক্তরাজ্য থেকে আসা ইমার্জেন্সি মেডিসিনের উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত ডা. মীর সাদ উদ্দিন আহমেদ সাদী, সহকারী প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর ঢাকা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফ খান, সহকারী অধ্যাপক ডা. ফেফেরদৌস। উপদেষ্টা হিসাবে থাকছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিটু মিয়া, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আহমেদুল কবীর ও বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ইমার্জেন্সি মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির চৌধুরী। আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা হিসেবে আছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইমার্জেন্সি মেডিসিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. নাহরীন আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ইমার্জেন্সি মেডিসিনের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের কনসালট্যান্ট ডা. মুহাম্মদ আলম।

Print Friendly

Related Posts