বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেলেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিন বছরের জন্য তাকে এই দয়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানিয়েছে।
বাংলা একাডেমিতে তিনি কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
২০১৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব সামলে আসা কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী গত ২৪ জুন মারা যান। এরপর বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জাতিসত্তার কবি হিসাবে পরিচিত মুহম্মদ নূরুল হুদার কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ, লোকসংস্কৃতি, নন্দনতত্ত্ব ও অনুবাদ সাহিত্যেও বিচরণ রয়েছে। বাংলা একাডেমির সাবেক এ পরিচালকের কবিতা ইংরেজিসহ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
৭১ বছর বয়সী হুদা বাংলা একাডেমির একজন ফেলো; পাশাপাশি আমেরিকান ফোকলোর সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ফোক ন্যারেটিভ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য তিনি।
সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন নূরুল হুদা। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে লাভ করেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বিশেষ সম্মাননা।
নূরুল হুদা বাংলাদেশের লেখকদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের’ অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার পোকখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র থাকা অবস্থায় ‘অধোরেখ’ সংকলন সম্পাদনা করে সাহিত্যাঙ্গনে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- জন্মজাতি, মৈনপাহাড়, ব্যাঙকুমার, চাঁদের বুড়ো চাঁদের বাড়ি, ছোটদের বেগম রোকেয়া, ছোটদের মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছোটদের রবীন্দ্র জীবনী, ছোটদের রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, দেখা হলে একা হয়ে যাই, রাজার পোশাক, রবীন্দ্র প্রকৃতি ও অন্যান্য, সাত ভাই চম্পা, তুমি যদি জলদাস আমি জলদাসী, শুক্লা শকুন্তলা, আমি একটি খাস প্রজাপত্র চাই, শোভাযাত্রা দ্রাবিড়ার প্রতি, মাটির নিচে, কাঠ কয়লা হাজার বছর কাতর, আমরা তামাটে জাতি, বার বছরের গল্প, তেলাপোকা ইত্যাদি।