বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনাকালীন সময়ে কোরবানির পশু সংগ্রহের সুবিধার্থে দেশব্যাপি চালু হয়েছে ডিজিটাল কোরবানি পশুর হাট।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২ টায় অনলাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই হাট উদ্বোধন করা হয়েছে। ই-ক্যাব (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে দেশব্যাপী ডিজিটাল হাট উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম । এতে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি ডিভিশন ও ই-ক্যাবের যৌথ ব্যবস্থাপনায় অনলাইন এই হাট পরিচালিত হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন) -এর প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান পিএএ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ন, আইসিটি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এবং ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ মাথা উচু করে দাঁড়াবে। এই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে একদিকে বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্য পাবেন অন্যদিকে ক্রেতারা পাবেন সঠিক পশু ক্রয়ের নিশ্চয়তা। হাটে না গিয়ে নিজেকে নিরাপদ রেখে ঘরে বসে কোরবানি পশু পাওয়ার এই সুবিধা আমরা পাচ্ছি। কারণ বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ করছে। আজ আমরা যদি ডিজিটালি সক্ষম না হতাম, তাহলে এই হাটের মাধ্যমে মানুষকে আজ এতটা সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়তো কঠিন হয়ে যেত’।
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার এই কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। কৃষক এবং খামারিরা খাদ্য ও পশু উৎপাদন করে দেশকে খাদ্য ও পশু উৎপাদনে স্বাবলম্বি করে তুলেছেন। দেশের ১৮৪৩টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে। এতে ই-ক্যাব ও একশপ সার্বিক সহযোগিতা করছে’।
মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় দেশ গবাদি পশুর ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ১৮ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিক্রি হয়েছে ৯৪ লাখ পশু। চলতি বছর ১ কোটি ১৯ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এবছর ১৮৪৩টি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা রেকর্ড সংখ্যক পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারব।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, ‘সম্পদের সুষম বন্টনে আমরা যদি তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারি তাহলে এর সুফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ই-ক্যাব পেন্ডামিকের শুরু থেকে ডিজিটাল হাট, লকডাউন ম্যানেজমেন্ট, টিসিবি’র পণ্য বিক্রি সব বিষয়ে সরকার এবং জনগণের পাশে রয়েছে’।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী স্ক্রো সেবার মাধ্যমে একটি গরু ক্রয় করেন এবং এটি মানবসেবায় দান করেন। সেই সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও কলসেন্টার থেকে কল করে যেকোনো তথ্য জানতে ও অভিযোগ করতে নিম্নে প্রদত্ত নাম্বারে কল করতে পারবেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এবং ঈদের আগের দিন পশু ডেলিভারি দেওয়ার শেষ তারিখ। কিন্তু একই শহরে হলে বিক্রেতারা ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত পশু বিক্রয় করতে পারবেন। (কলসেন্টার-09614102030)