বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কোভিড মহামারির মধ্যেই দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হচ্ছে পবিত্র হজ। স্থানীয় সময় ১৭ জুলাই সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। গত বছরের মতো এবারও সীমিত পরিসরে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজে অংশ নিচ্ছেন মুসল্লিরা।
২০২০ সালের মতো এবারও হজের সুযোগ পাননি অন্যান্য দেশের মানুষ। তবে সৌদি আরবে বসবাসরত দেশটির নাগরিক ও বিদেশি বাসিন্দাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার জনকে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। করোনার আগে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এ সুযোগ পেতেন।
বড় ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা নেই এমন ব্যক্তিদেরই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপ্রাপ্তদের সবাই কোভিড ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়েছেন। হাজিদের একজন আমিনা আল জাজিরাকে বলেন, ‘এ বছর হজ পালন করতে যাওয়া অল্প কিছু মানুষের মধ্যে একজন হতে পারে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি।’
এবার প্রথমবারের মতো পুরুষ অভিভাবক ছাড়া হজের নিবন্ধন করার সুযোগ পেয়েছেন সৌদি নারীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগ থেকেই মক্কায় আসতে শুরু করেন অনুমতিপ্রাপ্ত হাজিরা। এদিন সকাল থেকেই তাদের স্বাগত জানাতে শুরু করে মসজিদুল হারাম কর্তৃপক্ষ। মসজিদে প্রবেশে করে মহান রবের সন্তুষ্টির জন্য পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করেন হাজিরা।
আগামী ১৯ জুলাই আরাফার দিন পালিত হবে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি দেবেন হাজিরা।
ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের একটি হচ্ছে হজ। আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, এমন মুসলিমদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।