বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৯৯তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২০০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩২৫ জন।
এই সময়ে ১১ হাজার ৫৭৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ১২ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। ১৯ জুলাই সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৯ হাজার ৫১০টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৫৭৯ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৫টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ৯৯৭ জনসহ মোট নয় লাখ ৫১ হাজার ৩৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১১১ জন পুরুষ ও ৮৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৯৪ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬৪ জন, বেসরকারিতে ৩০ জন) ও বাড়িতে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৮ হাজার ৩২৫। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ১৬ হাজার ২৯০ জন, যার শতকরা হার ৮৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন এক হাজার ৫৭৭ জন, যার শতকরা হার আট দশমিক ৬১ শতাংশ। বাসায় ৪৩৮ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৩৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২০ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৬১ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং পাঁচ হাজার ৬৬৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০০ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩৫ জন, আশি উর্ধ্ব আট এবং নব্বই উর্ধ্ব একজন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৫০ জন, বরিশাল বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৯ কোটি ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি ৪৬ লাখের বেশি।