বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে পুনরায় অভিযুক্ত করে বলেছেন, ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল সেটা একদিন বের হবে।
তিনি বলেন, ‘হত্যার বিচার হয়েছে। তবে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল, একদিন সেটাও আবিষ্কার হবে। কিন্তু, আমাদের কাজ একটা ছিল- প্রত্যক্ষভাবে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা। আর সব থেকে বড় কাজ এই দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন- দেশের মানুষের উন্নয়ন করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন করাটাকেই আমি সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। তাই, পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে, কি করেছে সেদিকে না গিয়ে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এই ক্ষুধার্ত দরিদ্র মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করে তাঁদের জীবন মান উন্নত করা।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় মোস্তাক-জিয়ার স্পষ্ট সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকে থাকুক এটাই হত্যাকারীরা চায়নি।
শোকের মাস আগস্টের শুরুতে রোববার (১ আগস্ট) কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই একমাত্র লক্ষ।
বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীর জন্য এক শোকগাঁথার মাস আগষ্ট, যে মাসে জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারকে।
শোকের মাসের শুরুতে প্রতি বছরের মতো এবারও সীমিত পরিসরে স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির আয়োজন করে কৃষক লীগ। তাতে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো দেশের অভ্যুদয় ও আদর্শ ধ্বংস করা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্যে দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশের উন্নয়নের যে যাত্রা থেকে গিয়েছিলো তা এগিয়ে নেয়াই প্রধান লক্ষ উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
পরে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় কৃষক লীগ।