বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫১৫তম দিনে দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৯০২ জন। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪৪ জন রোগী।
এর আগে ২৭ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ ২৫৮ জন রোগী মারা যায়, আর ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪৬ হাজার ৯৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ৭৪৪ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ দুই হাজার ৪১২টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৮টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭৮৬ জনসহ মোট ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ ও ১২৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৪৫ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৯০ জন, বেসরকারিতে ৫৫ জন) ও বাড়িতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২১ হাজার ৯০২ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ১৮ হাজার ৯৭১ জন, যার শতকরা হার ৮৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ২৬৪ জন, যার শতকরা হার ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাসায় ৬৩৯ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৯২। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২৮ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৮৪ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৭ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং সাত হাজার ২১৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬৪ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ২৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৫০ জন, আশি উর্ধ্ব ১৫ জন এবং নব্বই ঊর্ধ্ব তিনজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৯ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৬ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ১১ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪২ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ১১ লাখের বেশি।