টাঙ্গাইলে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপরে

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ীর ঢলে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে।টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আবারও শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে, শুরু হয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, মেঘারপটল, চর চন্দনী, রেহাইগাবসারা এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ইতোমধ্যে চর চন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় বন্যার পানির তীব্র স্রোতে পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এতে কয়েক গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং মসজিদসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ফলদা ও অলোয়া ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। এতে সেখানেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অর্ধশত পরিবার।

ভালকুটিয়া গ্রামে বসবাসকারীরা জানান, বন্যার পানিতে রোববার সকালে পাকা সড়ক ভেঙে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে কয়েক গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। যমুনা নদীর ভাঙনে গ্রামের একমাত্র মসজিদটিও ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমনের ক্ষতির পাশাপাশি বীজতলা ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এতে কৃষকের রয়েছে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান জানান, নদী ভাঙন ও বন্যা দুর্গতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Print Friendly

Related Posts