আফগানিস্তানে ক্ষমতার দখলে নেওয়া তালেবান নতুন সরকার গঠন করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) অ্যাক্টিং সরকারের সদস্যদের নাম ঘোষণা দিয়েছেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করে অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, তালেবানের প্রভাবশালী ‘রাহবার-ই-শুরা’ আসলে শীর্ষ নেতাদেরই পরিষদ। এ পরিষদের প্রধান হিসেবে হাসান আখুন্দ প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী। তালেবানের অভ্যন্তরীণ সকল বিষয়ের সিদ্ধান্ত ও পরিচালনা এখান থেকেই করা হয়।
সেই গুঞ্জন অনুযায়ী, মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে অস্থায়ী সরকারের প্রধান ঘোষণা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিলো। তাছাড়া, অন্যান্য নেতাদের মতো তার পরিচিতি গণমাধ্যমে খুব একটা আলোচনাও হয়নি।
তালেবান যে শহরে গঠিত হয়, সেই কান্দাহারেরই বাসিন্দা মোল্লা হাসান আখুন্দ। তিনিও গোষ্ঠীটির অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। গত দুই দশক ধরে তিনি রাহবার-ই-শুরার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত যখন তালেবান ক্ষমতায় ছিলো তখন মোল্লা হাসান আখুন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভারতের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি বার্তাসংস্থা ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মোল্লা হাসান একজন কট্টরপন্থী ব্যক্তিত্ব। ২০০১ সালের মার্চে তার তত্ত্বাবধানেই আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বিখ্যাত বুদ্ধমূর্তিটি ধ্বংস করা হয়। জাতিসংঘ এখনও তাকে সন্ত্রাসী তালিকায় রেখেছে।
তবে মোল্লা হাসানের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করে হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেছেন, তিনি রাহবার-ই-শুরার প্রধান হিসেবে ২০ বছর ধরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এমন একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা, যিনি সচ্চরিত্র ও নিষ্ঠার জন্য সুপরিচিত।