বাসাইল উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে অব্যাহতি

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিউর রহমান গাউসকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে গাউসকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান নবুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের বর্ধিত সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় গত ২১ সেপ্টেম্বর বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতির স্বাক্ষরিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আলোচনা করে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সেই সাথে তিনি দলীয় পরিচয় দিতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুল আলম মাস্টার বলেন, দলীয় আইনশঙ্খলার বঙ্গের কারণে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রেরিত চিঠিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকের পদ শূন্য ঘোষণা করে। ওই পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান নবুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদস্য অব্যাহতি পাওয়া বাসাইল উপজলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিউর রহমান গাউস বলেন, আমি একজন দলের ত্যাগী নেতা। গত উপজেলা নির্বাচনে শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক থেকে মনোনয় দিয়েছিল। আমি নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছি। কিন্তু নৌকার বিরুদ্ধে তৎকালীন বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এ আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের সক্রিয় ভূমিকায় নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী অলিদকে জয়লাভ করায়। এরপর থেকে বাসাইলে নৌকা ও আনারসের মধ্যে একটা গ্রুপ হয়। এছাড়া সামনে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আমি যাতে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হতে না পারি এ জন্য আমাকে কোন কারণ ছাড়াই দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কিন্তু অব্যাহতি দেয়ার আগে আমাকে কোন ধরনের কারণ দশানোর নোটিশ দেয়া হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগ আমাকে দল থেকে অব্যাহতি ও বহিষ্কার করতে পারেন না।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান রফিক বলেন, বাসাইল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

Print Friendly

Related Posts