দেশের প্রথম সৌভাগ্যবান টিকাগ্রহণকারী শিশুশিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র মোবাশ্বির রহমান রাফি (১৬)। তাকে দিয়ে সারা দেশে শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চারটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বয়সি ১২০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। শিশুদের টিকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ জেলা মানিকগঞ্জ থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে টিকা দেওয়া। তার পর আরেকটি স্বপ্ন ছিল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমাদের হাতে ৬০ লাখ টিকা আছে; যার মধ্যে আমরা প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দেব।
তিনি বলেন, আমেরিকার তৈরি নিরাপদ একটি টিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে। খোদ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা খুবই নিরাপদ। আগামীতে শিক্ষার্থীদের এক কোটি টিকা দিতে পারব। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাদের এই উদ্বিগ্ন নিরসন করতে টিকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই টিকা দান কর্মসূচি পরবর্তী সময় দেশের ২১টি স্থানে শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। রাজধানীতে বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে। করোনাভাইরাস থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতেই এই টিকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেছেন, দেশে এক কোটি শিশু রয়েছে। পযায়ক্রমে এসব শিশুদেরও টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ইতোমধ্যে ৫ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সময়মতো টিকা পেলে আগামী এপ্রিলের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও মন্ত্রী বলেছেন।