প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্রমাগত উন্নতির ফলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।বাংলাদেশকে আর কেউ পিছিয়ে রাখতে পারবে না। বিশেষ করে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনমান আরও সমৃদ্ধ হবে।’
রোববার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সেতুটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পটুয়াখালীতে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম পায়রা সেতু উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে একটা সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কিন্তু ধরলা সেতুও আমাদের সময় করা। যমুনা নদীর ওপর রেলসহ বঙ্গবন্ধু সেতু, এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা। কাজেই এদেশে যতটুকু উন্নয়র সেটা আমরাই করেছি। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশনসহ যত উন্নয়ন হয়েছে সবই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই গবেষণা শুরু করেছিলাম। আজকে লবণাক্ততা সহনশীল ধান চাষাবাদ হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় একটি মাত্র ফসল হতো। আজকে সেই চিত্র বদলে গেছে। শাক-সবজিসহ সারাবছরই সেখানে এখন চাষাবাদ হচ্ছে। এই পায়রা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হলো তা অঞ্চলের মানুষের জন্য বড় সুযাগ সৃষ্টি করবে।
সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪০০ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে সেতুর পটুয়াখালী প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি। এছাড়া দুমকী প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার সংসদ সদস্যরা, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী ও প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর, শেখ হাসিনা সেনা নিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।