বাংলাদেশের প্রথিতযশা: আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদারের ইন্তেকালে বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)।
তার মৃত্যুতে সমিতি থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনাব মজুমদার ছিলেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একজন প্রকৃত শুভাকাঙ্খী ও সহায়ক শক্তি। ২০০০ সালে বেগম খালেদা জিয়া প্রজাতন্ত্রে কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও কর্মচারীদের আকস্মিকভাবে চাকরিচ্যুত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সচিবালয় ও প্রশাসনকে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য করার কার্যক্রম শুরু করে, তখন বাসেত মজুমদার কোন ফি ছাড়া প্রশাসনিক কোর্টে ও হাইকোর্টে তাদের মামলা পরিচালনা করেন ও দুঃসাহসিক বিরল নজীর স্থাপন করেন। তিনি প্রজাতন্ত্রে কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চিরঋণে আবদ্ধ করে গেছেন।
সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করে বলেন, সেই দুঃসময়ে ও দুর্দিনে চাকরিচ্যুত মেধাবী ও সৃজনশীল বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের জন্য অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার যে নৈতিক মনোবল ও মহানুভবতা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ও তাদের ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন, সে ঋণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা সারা জীবনেও পরিশোধ করতে পারবে না।
প্রজাতন্ত্রে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কর্মচারীরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।
উল্লেখ্য, গরিবের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দেশের আইনজীবী অঙ্গনে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।