কারো ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না রওশন এরশাদ, তবে চার-পাঁচদিন ধরে অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হচ্ছে না।
ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদ নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা ৭৮ বছর বয়সী রওশন মাঝেমধ্যে চোখ খুলছেন।
টানা ৭৭ দিন ধরে হাসপাতালে থাকা রওশনের সুস্থতা কামনায় পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ আগস্ট সিএমএইচে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা রওশন এরশাদের ফুসফুসে অস্বাভাবিক মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি দেখতে পান। তখন তার অক্সিজেন স্যাচুরেশনও কম ছিল। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যেখানে ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্বাভাবিক মাত্রা ৫০-৬০ থাকার কথা, সেখানে তার ছিল দুইশর বেশি। তবে তার করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
অবস্থার অবনতি হলে ১৬ আগস্ট তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আইসিইউ থেকে গত ২৫ আগস্ট তাকে সিএমএইচের অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। আবারও অবস্থার অবনতি হলে গত সপ্তাহে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
রওশনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার ছেলে রাহ্গীর আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আম্মুর ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আস্তে-আস্তে কমছে। আগের চেয়ে ভালো, তবে খুব ক্লান্ত, নিস্তেজ বলা ঠিক হবে না। বার্ধক্যের কারণে বেশি দুর্বল। মাঝেমধ্যে চোখ খুলছেন।’
তিনি জানান, সিএমএইচের চিকিৎসায় তারা সন্তুষ্ট। প্রয়োজন হলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
এদিকে, রওশন এরশাদের রোগমুক্তি কামনায় বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল হয়েছে। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি ও জহিরুল ইসলাম জহির, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের প্রমুখ।