ফ্রিউইন্স-এর সফল চিত্রপ্রদর্শনী

সিদ্ধার্থ সিংহ: সম্প্রতি ফ্রিউইন্স আয়োজিত কুড়ি জন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীর প্রায় অর্ধশত ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল কলকাতার গড়িয়ার মহামায়াতলার সুশীলা ভবনে।

এক টানা সাতদিন ধরে প্রদর্শিত এই ছবিগুলোর মধ্যে যেমন ছিল নিসর্গ, তেমনই ছিল পশুপাখির ছবি, বিমূর্ত ছবিও। ধরা পড়েছে প্রেম-বিরহ, ক্ষোভ, যন্ত্রণা, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও।

বিশিষ্ট যে সব শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন অতীন বসাক, বাদল পাল, নবকুমার চক্রবর্তী, বাপ্পা ভৌমিক, কাজল ভট্টাচার্য, সুজিত কুমার ঘোষ, সুমন চৌধুরী, মিহির কয়াল, রুচিরা মজুমদার পাল, রঞ্জনা চ্যাটার্জি, সুদীপ্ত অধিকারী, প্রতীক মল্লিক, ধ্রুবজ্যোতি নাথ, শিবনাথ নস্কর, অবিরা ব্যানার্জি, রিমঝিম সিনহা দাশগুপ্ত, সৈকত ঘোষ, ইন্দ্রানী ঘোষ এবং ‘গড : এনসিয়েন্ট এলিয়েন অর আ মিথ’-খ্যাত ইংরেজি সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক শুভঙ্কর সিংহ।

এ ছাড়াও ছিল সৌরীন সরকার এবং সুদীপ নস্করের চোখ ধাঁধানো বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য।

যখন গোটা পৃথিবীতেই ছবির বাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে তখন কলকাতা শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সদ্য গজিয়ে ওঠা এই গ্যালারি থেকে প্রথম তিন দিনেই বিপুল টাকায় বিক্রি হয়ে গেল পাঁচ-পাচটা ছবি।

যেহেতু শহরের মূল কেন্দ্রের বাইরে একটিও ছবির গ্যালারি নেই, ফলে সেখানকার লোকজনদের ছবি দেখার অভ্যাসও সে ভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই এখানে আদৌ কোনও ছবির দর্শক হবে কি না সেটা জানার জন্যই মূলত পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই যে এমন ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি উদ্যোক্তারা।

এই প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্যোক্তা আর্টভার্স-এর কর্ণধার এবং এই সময়ে বিশিষ্ট শিল্পী শুভংকর সিংহ জানিয়েছেন, এখানে একের পর এক ছবি বিক্রি হওয়াটা এ বার থেকে শহরের বাইরে গিয়ে ছবি প্রদর্শনী করতে আমাদের উৎসাহিত করল।

দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে কাজ করা পিডিলাইটের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে আসা এই প্রদর্শনীর আর এক উদ্যোক্তা সুদীপ্ত অধিকারী জানালেন, স্থানীয় লোকজনদের এই বিপুল উৎসাহ আমাদের প্রেরণা জোগাল এই সুশীলা ভবনে বছরে অন্তত বেশ কয়েকটি চিত্রপ্রদর্শনী করার। ইচ্ছা আছে, ছবি এবং ভাস্কর্যের পাশাপাশি স্থিরচিত্রও প্রদর্শনীতে রাখার।

Print Friendly

Related Posts