মূল পদ্মা সেতুর সড়কপথের কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে এ কার্পেটিং শুরু হয়।
ওয়াটার প্রুভ লেয়ারের ওপরে বহু প্রতীক্ষিত ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের এই কার্পেটিং হচ্ছে দুই লেয়ারে। সেতুর ৪০ নম্বর খুঁটির কাছ থেকে ৬০ মিলিমিটার পুরুত্বের প্রথম লেয়ারটি দেওয়া শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।
পদ্মা সেতুতে এখন চলছে একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ। মূল সেতুর কার্পেটিং। সড়কপথের চার লেনের পদ্মা সেতুর মাঝে ডিভাইডারের পশ্চিম পাশের দুই লেনে চলছে এই পিচ ঢালাই। ধূসর, হলুদ, সাদা ও কমলা রংয়ের ওয়াটার প্রুফ লেয়ারের ওপর প্রথম লেয়ারে ৬০ মিলিমিটার পুরু করে কার্পেটিং করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় লেয়ারে আরও ৪০ মিলিমিটার পুরুত্বের কার্পেটিং করা হবে। দুই লেয়ারে ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের এই কার্পেটিং বিশ্বমানের।
শত বছরের আয়ুষ্কাল ঠিক রেখে আগামী জুনের মধ্যে যান চলাচল উপযোগী করতেই কাজ চলছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৗশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর।
বাংলাদেশের বিস্ময় এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘিরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশব্যাপী নতুন দ্বার উন্মোচনের পথে। পদ্মা সেতুর কার্পেটিং শুরু হওয়ায় খুশি পদ্মা পাড়ের মানুষ।
প্যারাপেট ওয়াল স্থাপন ও ডিভাইডার নির্মাণ শেষ পর্যায়ে এখন। এক্সপানশন জয়েন্টের কাজও চলছে পুরোদমে। মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি। আর সেতুর সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮৯ শতাংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান (মূল কাঠামো) বসানো হয়েছে। এসব স্প্যানের ওপরে সড়কপথ ও নিচে রেললাইন তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।