দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬২৩তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।
এর ফলে ২০২০ সালের ১৮ মার্চের পর এই প্রথমবারের মতো মৃত্যুবিহীন দিন দেখল বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। আর শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭৮ জন। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৫ হাজার ১০৭টি পরীক্ষায় ১৭৮ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৯২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৬টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি সাত লাখ ছয় হাজার ৬৬২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ছয়জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি।মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬২ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৭৩ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৮। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮৮৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক এক শতাংশ এবং ১০ হাজার ৫৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৩ কোটি ২১ লাখের বেশি।