সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কারা-মহাপরিদর্শক, ব্রিগেঃ জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, এসজিপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, এনডিসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব তাহেরা ইয়াসমিন, অপারেসন্স ডিরেক্টর, রুল-অফ-ল প্রোগ্রাম, জিআইজেড। সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ প্রশিক্ষণ পরিচালনায় ব্যবহৃত প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ‘মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ- প্রশিক্ষণার্থীদের সহায়িকা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও অর্জন তুলে ধরে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী মানসিক অস্থিরতা, পারিবারিক সহিংসতা এমন কি মাদকের মত সমস্যা বেড়ে গেছে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের বিষয়টি আমরা উপলব্ধি করেছি। এই রকম একটা প্রেক্ষাপটে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন একটি নজির স্থাপন করেছে।’
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার কারাবন্দিদের উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর, এক্ষেত্রে কারা অধিদপ্তর বেশকিছু যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মানসিক চাপ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, মানসিক চাপ প্রতিটি মানুষের জীবনই ক্ষতি করতে পারে, তা সে বন্দি হোক বা নাই হোক। কারা অধিদপ্তর ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণগুলো দেশের ৬৮টি কারাগারে ৩৭৯জন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রদান করা হয়েছে।
জিআইজেড বাংলাদেশ এর ‘রুল অব ল’ প্রোগ্রামের অপারেশন্স ডিরেক্টর তাহেরা ইয়াসমিন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জিআইজেড-এর যৌথ প্রকল্পটি ২০০৮ সাল থেকে কারা অধিদপ্তরের সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত বছর কারাভ্যন্তরে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ কর্মীদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে করণীয় ও মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের সুপারিশক্রমে এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগারে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রশিক্ষণগুলো শেষ হবার পর এর সাফল্য ও অংশগ্রহণকারীদের ফিডব্যাক আমাদের ৫৫টি জেলা কারাগারেও এই প্রশিক্ষণ পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ৪ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ বিষয়ে তাঁদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ ধরণের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যে সকল কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি তাদের এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তারা অনুরোধ জানান।