অমিত সাহার মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আবরারের মা রোকেয়া

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মা রোকেয়া খাতুন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

আবরারের মা বলেন, ‘অবিলম্বের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’ তবে আবরার হত্যায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী অমিত সাহার মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-মুহতাসিম ফুয়াদ, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, আকাশ হোসেন, অমিত সাহা ও মোয়াজ আবু হুরায়রা।

এদের মধ্যে মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ পলাতক রয়েছেন।

গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

Print Friendly

Related Posts