ফাইভ জি যুগে বাংলাদেশ

ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রোববার (১২ ডিসেম্বর) নগরীতে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথি হিসাবে জয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ সব খাতে এগিয়ে যাবে… আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাব।

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি সাইটে এই পরিষেবা চালু করেছে।

স্থানগুলো হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২ এবং ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর।

মার্চে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ নিলামের পরে বেসরকারি অপারেটররা আগামী বছর ৫জি চালু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে বাংলাদেশ আরও ৬০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে ৫জি মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে যোগ দেয়।

টেলিকমিউনিকেশনে, ৫জি হল ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কগুলোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির মান যেটি  সেলুলার ফোন কোম্পানিগুলো ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী স্থাপন করা শুরু হয়েছিল এবং ৪জি নেটওয়ার্কগুলোর পরিকল্পিত উত্তরসূরি- যা বেশিরভাগ বর্তমান সেল-ফোনগুলোতে সংযোগ প্রদান করে।

জিএসএম এসোসিয়েশনের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫জি নেটওয়র্কের ১.৭ বিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যদের সঙ্গে নগরীর একটি হোটেলে থেকে ‘নিউ এরা উইথ ফাইভ জি’ শিরোনামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডাক ও  টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং ঝেংজুন, হুয়াওয়ে  টেকনোলজিসের আঞ্চলিক প্রধান সাইমন লিন, বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারও এতে বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts