ক্রেতাদের নজর কেড়েছে মাঞ্জা’র দেশীয় হ্যান্ডমেড পোষাক

আহমেদ সাব্বির রোমিও: ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের নজর কাড়তে শুরু করেছে মাঞ্জা’র দেশীয় হ্যান্ডমেড পোষাক।

আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী দামের কারণে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সব সময় সময়ে আলাদা পছন্দের জায়গা হ্যান্ডমেড দেশীয় পোশাক ও সামগ্রী। সারা বছরই এবং অকেশনালি দেশীয় পোশাকের ইউনিক ডিজাইনের চাহিদা থাকে ক্রেতাদের কাছে। আর করোনাকালীন সময়ে শোরুম থেকে ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটার দিকেই ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছে। তারই ধারাবাহিকতায় অনলাইন শপ ‘মাঞ্জা’ নিয়ে আসছে ইউনিক ও ফ্যাশনেবল রুচিসম্মত সব দেশীয় হ্যান্ডমেড এবং দেশীয় প্রিন্টেড পোশাক। ভিন্নধর্মী ও রুচিশীল কুর্তি এবং বাহারি ডিজাইনের পোশাকের কালেকশন রয়েছে মাঞ্জা’র ফেসবুক পেজে।

মাঞ্জা’র কর্ণধার সাদিয়া ইসলাম বলেন, পড়ালেখা করেছি ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য থেকে। কিন্তু সাহিত্য নিয়ে পড়াটা আমার পরিকল্পনা ছিল না। আমার স্বপ্ন ছিল ডিজাইনার হওয়া। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেসময় পরিবার থেকে সমর্থন না পাওয়ায় সেই স্বপ্নটা তখন পূরণ হয়নি। তবে স্বপ্নের পেছনে ছোটা আমি থামাইনি কখনও। নিজের স্বপ্ন পূরনের কাজে লেগে পড়েছিলাম নিজেই। ছোটখাটো ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে করতে আমি আজ মাঞ্জা’র উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার।

মাঞ্জা হলো আমার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। পরিবারের সহযোগীতার কারণেই আমি এই কঠিন কাজটায় নামতে পেরেছি। হাজবেন্ড, শ্বশুড়-শাশুড়ি, মেয়ে তাদের সকলের সাপোর্টেই আমি আজ এখানে। মাঞ্জা-তে আমরা মূলত দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করি। মাঞ্জা তাই ফ্যাশন আর ডিজাইনের মাধ্যমে দেশের নাম তুলে ধরার ক্ষুদ্র একটি প্রচেষ্টা মাত্র। মাঞ্জা সেসব মানুষকে নিয়ে কাজ করা শুরু করেছিল, যাদের গুণ আছে, কিন্তু অর্থ বা সুযোগের অভাবে তারা তাদের স্বপ্নের পরিধিটা বড় করতে পারেনি। মাঞ্জা সেই মানুষগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে দিয়েছে।

মাঞ্জা’র জার্নি শুরু হয়েছিল এবছরের মার্চের ১ তারিখ থেকে, উদ্যোগটা নেয়া হয়েছিল তার মাত্র সপ্তাহখানেক আগে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মানযার এই পথচলাটা বন্ধুর হলেও, ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল। প্রত্যেকটা ধাপে সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন, নতুন এই উদ্যোগকে সাপোর্ট করেছেন, আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন।

যাত্রা শুরুর পর থেকেই মাঞ্জার সদস্যরা একটা পরিবারের মতোই হয়ে গেছে। মানযাকে এগিয়ে নেয়ার কাজটা সবাই মিলে করছেন, নিজেদের সেরাটা তারা ঢেলে দিচ্ছেন এই উদ্যোগের পেছনে।

হাতে বা ঘরে বানানো কাপড় আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের একটা অংশ ছিল। সেই ঐতিহ্যটাকেই আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। হ্যান্ডমেড পোষাককে পৌঁছে দিতে চাই আপনার নাগালে, সাধ্যের মধ্যে যেন আপনি পেতে পারেন সবচেয়ে ভালো পণ্যটাই। আপনাদের সেবা দেয়া এবং নিখুঁত ডিজাইনের নির্ভেজাল পণ্য সরবরাহে মানযা সব সময় কাজ করে যাবে। মাঞ্জা-কে দেশের শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর একটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

শুধু দেশেই নয়, কাঁটাতারের গণ্ডি পেরিয়ে মানযা দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশী ফ্যাশন এবং ডিজাইনের প্রতিনিধিত্ব করবে, এমন স্বপ্নই আমরা দেখি। আমরা বিশ্বাস করি কোয়ালিটিতে, আর বিশ্বাস করি ভালোবাসায়। আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়া হবে আমাদের এগিয়ে চলার পথের পাথেয়- এটাই আমাদের চাওয়া।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts