বইমেলা জার্নাল-২

সাইফ বরকতুল্লাহ
করোনার আঁধার কেটে গেছে। জমজমাট বইমেলা। বইমেলার দ্বিতীয় দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই টিএসসির গেটে দেখলাম ভ্রাম্যমাণ হকাররা ফুল বিক্রি করছে। কেউ খাবার বিক্রি করছে। বইমেলায় আগত দর্শনার্থীরা কেই ফুল কিনছেন।তরুণীরা ফুল কিনে নিয়ে মাথায় সাজছেন।দারুণ এক দৃশ্য।
আর একটু সামনে গিয়ে মূল প্রবেশপথে ঢুকতেই নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ভাইয়েরা দেখলাম সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে দারুণ কাজ করছেন।এরই মধ্যে মাইকে ঘোষণা হচ্ছে,‌ ‘অনেকেই গেটে ঢুকার সময় মাস্ক পরলেও মেলার ভেতরে গিয়ে আর খোলে ফেলছেন। সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
দ্বিতীয় দিন মেলায় ঢুকেই গেলাম লেখক মঞ্চে। ওখানে গিয়ে আড্ডা দিলাম কিছুক্ষণ।দেখা হলো স্বকৃত নোমান, মোজাফফর হোসেন, আদনান সৈয়দ, জসিম মল্লিক, সরকার আমিন, নাহার মনিকা, শাহেদ কায়েস, শাহনাজ মুন্নীসহ আরও প্রিয় লেখকদের সঙ্গে।কথা হলো মঈনুল হাসানের নোনা মা‌টি ধূ‌লিফুল (উপন্যাস) গ্রন্থ নিয়েও।
একটু পরেই যোগ দেই পরিবার পাবলিকেশন্সের সামনে আড্ডায়। এরপর চন্দ্রবিন্দুর সামনে পেয়ে যাই হামিম কামাল এবং সুপার ডুপার আলোকচিত্রী জাহরা জাহান পার্লিয়ার সঙ্গে। দারুণ কিছু ছবি তুলে মুহূর্তবন্দী করে রাখলেন তিনি।
এরপর মন্দিরের পাশে চা খেতে যাই।ওখানে গিয়ে মোবাইল অন করে ফেসবুক নোটিফিকেশনে দেখতে পেলাম, পেন্ডুলাম পাবলিশার্সের কয়েকটি ছবি।বইমেলার শুরুর দিন প্রথম লগ্নে আমি একটি বই কিনেছিলাম।সে সময় পেন্ডুলাম প্রকাশনে থাকা হুমায়ূন আজম রেওয়াজ বললেন, এবারের মেলার প্রথম ক্রেতা আপনি, চলেন সেলফি তুলি। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।কি আনন্দ! আমি যখন বইমেলার উদ্বাধনী ক্রেতা।
এরপর দেশটিভির ফাগুনের মলাটে লাইভে মেলার অনুভূতি নিয়ে কথা বললাম।
বইমেলার তৃতীয় দিন বন্ধু, এবং বইয়ের সম্পাদক ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে দারুণ আড্ডা হলো। কথা হলো বইমেলা, বই, সম্পাদনাসহ নানান বিষয়ে।এরপর ইকমরিমিকরিতে গেলাম।মাসুমের জোরাজুরিতে ওদের ফেসবুক লাইভে কিছু কথা হলো।বলে রাখি মেলা শুরু দিন থেকেই এবার প্রচুর উপস্থিতি।বইও বিক্রি হচ্ছে (প্রকাশকদের ভাষ্য)। অনেক দর্শনার্থীদের হাতে বইয়ের ব্যাগ দেখা গেছে।
বইমেলার চতুর্থ দিন ছিল শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২)।বইমেলায় এদিন ছিল জনস্রোত।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেলে প্রচুর ভিড়-ভাট্টা। গেটে ঢুকতে দেখলাম লম্বা লাইন।আসলে বইমেলার এটাই মজা।যেন প্রাণের টানে সবাই চলে আসেন এখানে।
শুভ হোক বইমেলা।
১৯.২.২০২২, ঢাকা
Print Friendly

Related Posts