বইমেলা জার্নাল-৩
সাইফ বরকতুল্লাহ
অনেকের মুখেই শুনি, বইমেলায় পাঠকের চেয়ে লেখক বেশি। বই বিক্রি কম। একটা হতাশা তারা সবসময় বলে বেড়ান। তাদের বলছি, আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ নতুন বই বের হয়। ইংল্যান্ডেও লক্ষাধিক নতুন বই আসে প্রতি বছর।
শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে প্রায় দুই মিলিয়ন বই প্রকাশিত হয় বছরে। বছরে বিক্রি হয় প্রায় ৬০০ মিলিয়ন কপি।
আর আমাদের দেশে ৫ থেকে ৬ হাজার বই প্রকাশিত হয় প্রতি বছর (গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী)। তাহলে কেন এত হতাশা? বাংলাদেশে প্রচুর বই বের হোক। ঘরে ঘরে লেখক তৈরি হোক।
শুভ হোক বইমেলা
২০.২.২০২২
বইমেলা জার্নাল-৪
বইমেলার পঞ্চম দিন (শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি)। মেলার গেটে ঢুকতেই দেখি মানুষের ঢল।এবার বইমেলার প্রথমদিন থেকেই প্রচুর লোকসমাগম হচ্ছে। আজ আমি কয়েকটি স্টলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, বই বিক্রির দৃশ্য। প্রচুর বই কিনছেন সাধারণ পাঠকরা।বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের বই সংক্রান্ত প্রকাশনাগুলোতে দেখলাম বাচ্চারা বই কিনছে। সঙ্গে অভিভাবকরাও আছেন।
এরপর হাঁটতে হাঁটতে বইমেলার ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউট প্রান্তে চলে যাই। অন্বয় প্রকাশের সামনে দেখা হয় হুমায়ুন কবীর ঢালী ভাই কবি হাসিদা মুনের সঙ্গে। এরপর সামনে আরেকটু যেতেই বাঁশির শব্দ শুনতে পাই। পাশে তাকাতেই দেখি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা ভাই যাচ্ছেন। আমি সামনে হাঁটা শুরু করি। দেখা হয়ে যায় এবারের বইমেলায় পাখিরােষ গল্পগ্রেন্থর লেখক আশরাফ জুয়েলের সঙ্গে।
এরপর তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে চলে আসি ঐতিহ্য প্রকাশনের সামনে। এখানে দেখা কবি আমিনুল ইসলাম ভাইয়ের সঙ্গে। অনেকক্ষণ কথা হয় লেখালেখি নিয়ে। এরই মধ্যে যোগ দেন বইকথা সম্পাদক ও গল্পকার শামসুল কিবরিয়া। এর আমি চলে যাই পরিবার পাবলিকেশন্সের দিকে। ওখানে দেখা হয় গল্পকার সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম, গল্পকার মাহবুব ময়ূখ রিশাদ, গল্পকার হামিম কামাল ও আলোকচিত্রী পার্লিয়ার সঙ্গে।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আমি কয়েকটি বই কিনে আবার হাঁটাহাঁটি করছি। বাতিঘরের সামনে যেতেই দেখা হয়ে যায় একঝাঁক সাহিত্যিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন কবি সাখায়াত টিপু, কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা, আফসানা বেগম, হামিম কামরুল হক, মাহবুব মোর্শেদ, স্বকৃত নোমান, সালাউদ্দিন শুভ্র, মাসউদ আহমাদ।
এরপর রাত ৮টার দিকে লিটলম্যাগ চত্ত্বরে যাই। সেখানে আড্ডা দিতে দেখা গেলাে কবি ও কহরদরিয়া সম্পাদক সম্পাদক লিয়াকত বখতিয়ার, কবি গিরীশ গৈরিক, কথাসাহিত্যিক শামস সাঈদ, রণজিৎ সরকার। এরপর চলে যাই অর্জন প্রকাশনের সামনে। ওখানে চলে বাদাম চক্র। একে একে এখানে যোগ দেন কবি সৌম্য সালেক, জব্বার আল নাঈম, হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, অর্জন প্রকাশক আবুল হাসেম।
রাত সাড়ে আটটার কাছাকাছি। হিমেল হাওয়া বইছে। একটু শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। আমরা বিদায় নিই বইমেলা থেকে।
১৯.২.২০২২