বইমেলা জার্নাল-৫

আরোহী, আয়শা আর বকুলের গল্প
বইমেলার সপ্তম দিন (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। বিকেল সাড়ে তিনটা। আমি হাঁটতে হাঁটতে শিশু চত্ত্বরে গিয়ে ইকরিমিকরির স্টলের পাশে চেয়ারে বসে আছি। এ সময় দেখি ইকরিমিকরির স্টলে বাচ্চাদের খেলার জন্য রাখা খেলনায় বসে জুস খাচ্ছে দুই শিশু।
ইকরিমিকরির মাসুম ভাইকে বললাম, এই বাচ্চা দুইটা তো দারুণ মজা করছে। মাসুম ভাই জানালেন, ওদের একজনের নাম আয়শা, আরেকজনের নাম বকুল।ওরা সোহরাওয়ার্দীর পাশেই থাকে। বাবা মা হয়তো পাশে কোথাও কাজ করে।
আয়শা এবং বকুল প্রতিদিন বইমেলায় আসে। ইকরিমিকরিতে বসে খেলা করে।বইমেলা ঘুরে। কেউ ওদের আদর করে খেতে দেয়।ওরাও আনন্দে সময় কাটায়। প্রায় বইমেলার পুরোটা সময় (সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত) থাকে। আমি বললাম দারুণ তো।
মাসুম ভাই জানালেন, ওরা বই কেনার আবদার করেছে। বইমেলার শেষদিকে বই দেওয়ার জন্য বলেছে।
২.
এরই মধ্যে চলে এসেছে আরোহী ও তার বাবা মা।আরোহীর জন্ম আমেরিকায়।এই প্রথম অমর একুশে বইমেলায় এসেছে ঘুরতে।এর আগে আরেকদিন এসেছিল। আজ দ্বিতীয়বার এসেছে ওর ইচ্ছায়। বইমেলা ওর খুব ভালো লেগেছে। এ সময় তারা আয়শা ও বকুলের কথা শোনে। ছবি তুলে।একটা বইও উপহার দেয় আয়শা ও বকুলকে।
নতুন স্বপ্ন নিয়ে আয়শা-বকুল আনন্দে মেতে উঠে। ততক্ষণে হালকা বাতাস বইছে।আমি ওখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই লিটলম্যাগ চত্ত্বরে।
শুভ হোক বইমেলা
২১.২.২০২২
সময় না বাড়লে এইদিনই (২৫ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার শেষ শুক্রবার। এদিন মেলায় যাব। এবার বইমেলায় ৩ দিন ছাড়া সব দিন গেছি। প্রতিদিনই লিস্টে থাকা বই কিনেছি। আজ বইকেনা (পকেট শূন্য) হবে না। কেউ চাইলে বই উপহার দিতে পারেন। আবার কেউ পছন্দের বই কিনেও দিতে পারেন। তা না হোক, চলে আসেন মেলায়, ধুমায়ে আড্ডা দেব, সঙ্গে চিনি ছাড়া রং চা।
Print Friendly

Related Posts