তরুণ প্রকাশক শওকত হোসেন লিটুর জন্মদিন আজ

আতাতুর্ক কামাল পাশা

 

প্রকাশক, সংস্কৃতি সেবক ও লেখক শওকত হোসেন লিটুর জন্মদিন আজ। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ তিনি ফরাশগঞ্জ রোড, পুরোন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর পৈত্রিক নিবাস মুন্সিগঞ্জে। বাবা আফসার উদ্দিন মা রবেদা বেগম।

পড়াশুনা করতেন আর প্রখ্যাত প্রকাশক ওসমান গণীর আগামী প্রকাশনীতে কাজ দেখতেন, অবসরে কখনো কাজও করতেন। আগামী প্রকাশনীতে অনেক জ্ঞানী, সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ আসতেন। তাঁরা যেমন গণী সাহেবকে সম্মান করতেন, গণী সাহেবও তাঁদের তেমন কদর করতেন। এসব দেখতে দেখতে তাঁর মাঝে বই প্রকাশনার একটি নেশা পেয়ে বসে। ১৯৯৯ সালে তিনি নিজেই একটি বই প্রকাশনা সংস্থা খুলে বসেন, নাম দেন পারিজাত প্রকাশনী। শুরু হয় কাঁচা হাতে বইয়ের ফর্মা সাজানো, মুদ্রণ, বাঁধানোর তদারকি। ক্রমেই তাঁর প্রকাশনা বড়ো হতে থাকে। দীর্ঘ ২০ বছরের শেষে এসে তাঁর প্রকাশনায় যুক্ত হয়েছে ১০৪৪টি বই।

তাঁর প্রকাশিত বইগুলো এতো যত্ন, এতো চন্দনচর্চিত রুচিকরভাবে প্রকাশিত হয় যে, অনেক মহৎ লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক এসে পারিজাত থেকে বই বের করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। এভাবে মহানগরের এমনকি দূর গাঁয়েরও অনেক সুচিন্তক লেখক তাঁদের পাণ্ডুলিপি নিয়ে আসেন পারিজাত প্রকাশনীতে। কারণ, তাঁর প্রকাশিত বইয়ের কোয়ালিটি বা গুণগত মান বেশ ভালো, চোখে ধরার মতো এবং বিদেশী বইগুলোর মতো অঙ্গসজ্জা।

শুধু বই প্রকাশ করে তিনি থেমে থাকেননি। বাংলাদেশের বই নিয়ে তিনি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে প্রতিবছর আগরতলা বইমেলায় গেছেন, সেখানে স্টল খুলেছেন। একমাত্র পারিজাত প্রকাশনীই আগরতলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে এবং এখনো করছে।

কলকাতা বইমেলাতেও গিয়েছেন তিনি। বিলেতে বইমেলার ওপর প্রশিক্ষণশালায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম ও প্রাচীন বইমেলা “ফ্রাঙ্কফুট বুকফেয়ার”এ তিনি বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে দু’বার অংশগ্রহণ করেন। ফ্রাঙ্কফুটের মেয়র তার স্টল পরিদর্শন করেন এবং শওকত হোসেন লিটু তাঁকে একটি বই উপহার দেন, তিনি তা খুবই সম্মানের সাথে গ্রহণ করেন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের প্রকাশনা শিল্প আরো এগিয়ে যাবে যাঁদের হাত ধরে এবং এগিয়ে যাচ্ছে তাঁদের পাইওনিয়ারদের মধ্যে একজন শওকত হোসেন লিটুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts