কবি জসীম উদ্‌দীনের বাড়িতে ‘চিতই পিঠা’ উৎসব

আবহমানকাল ধরে ফরিদপুরের গ্রামগঞ্জের ঘরে- ঘরে পৌষ পার্বণে রকমারি পিঠা তৈরি করার রেওয়াজ রয়েছে। আগে দাদি-নানি, মা, খালা- ফুপুরা পরম মমতায় তৈরি করতেন বিভিন্ন ধরনের পিঠা। হেমন্ত ঋতুতে ধানকাটা শুরু হয়। নতুন সে ধানের চালে তৈরি হয় নানা রকমের পিঠা।

শহরের যান্ত্রিক জীবন। সবাই ছুটছে। ব্যস্ততায় কাটে সবার দিন। তাইতো গ্রামের এ পিঠা শহরে তেমন চোখে পড়েনা। তবে এবার ফরিদপুরের কবি জসীম উদ্‌দীনের বাড়িতে হয়ে গেল ব্যতিক্রম ‘চিতই পিঠা’ উৎসব।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জেলা শহরের অম্বিকাপুরে কবি জসীম উদ্‌দীনের বাড়িতে একদল ভ্রমণ পিপাসুদের উদ্যোগে এ ‘চিতই পিঠা’ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

এ ভ্রমণ পিপাসুরা প্রথমে কবি জসীম উদ্‌দীনের বাড়িতে নির্মিত ‘পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন সংগ্রহশালা’ পরিদর্শন করেন। পরে তারা কবির বাড়ির সামনের কুমার নদের পাশে বসে চিতই পিঠা ও হাঁসের মাংস খাওয়ার আয়োজন করেন।

এ উৎসবে ভ্রমণ পিপাসুদের মধ্যে ছিলেন- পান্না বালা, মুমিনুল হক, পার্থ প্রতীম ভদ্র, অজয় দাস, এজাজ আহম্মেদ, হারুন-অর-রশীদ, জহির হোসেন, মানিক কুন্ডু, মাফিকুল ইসলাম, লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, সুব্রত কুমার পাল, শুভ বিশ্বাস, সজীব দত্ত প্রমূখ।

এব্যাপারে ভ্রমণে আসা পান্না বালা বলেন, “এই ব্যস্ততার জীবনে নিজের মতো করে কাটানোর তেমন সময় হয়ে উঠেনা আমাদের। কিন্তু আজ পল্লী কবির বাড়িতে এসে অনেক ভালো লাগছে। এখানে এসে পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। ঘুরে ঘুরে সব দেখেছি ও মজা করেছি।”

ভ্রমণে আসা জহির হোসেন বলেন, “এখানে এসে ভ্রমণের পাশাপাশি চিতই পিঠা ও হাঁসের মাংস তৃপ্তি সহকারে খেতে পারা সত্যিই বড় ভালো লাগার।”

ভ্রমণে আসা মাফিকুল ইসলাম বলেন, “এই ব্যতিক্রম আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। একদিকে কবি জসীম উদ্‌দীনের বাড়িতে ভ্রমণ করা হলো, সাথে চিতই পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। সত্যিই আমি বিমোহিত।”

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts