বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অলৌকিক বললেও হয়তো ভুল হবে ইংল্যান্ডের নিউক্যাসলের এই ঘটনাকে৷ কিন্তু এমনটাই ঘটেছে ২১ বছর বয়সি টেরি আন হাইডের সঙ্গে৷ যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকেই৷ কারণ গত মার্চ মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেওয়া টেরি ঠিক কবে গর্ভবতী হয়েছিলেন সেটাই তিনি নিজেই বুঝতে পারেননি৷
বছর একুশের যুবতী আসলে পেশায় একজন চিয়ারলিডার৷ সেই সঙ্গে একটি বারেও কাজ করতেন তিনি৷ এমনকি গর্ভাবস্থায় একটি ড্যান্স ট্রুপের হয়ে সপ্তাহে দু’বার নাচও প্র্যাক্টিস করতেন৷ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও তাঁকে সবাই পার্টি-পাগল বলেই জানে৷ এহেনও রঙিন জীবন-যাপন করা টেরির দৈনন্দিন রুটিন একলহমায় থেমে যায়৷ গর্ভাবস্থার ন’মাস অতিক্রম করার পরেই তাঁর প্রসব বেদনা ওঠে৷
এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর এক পুত্রের জন্মও দেন টেরি৷ কিন্তু সন্তান হওয়ার পর নিজেই মেনে নিতে চাননি শিশুটিকে৷ কারণ গর্ভবতী থাকার কথা কিছুতেই তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না৷ এমনকি তাঁকে স্বীকার করে নিতেও অস্বীকার করেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য মায়ের কোলে স্থান পায় ছোট্ট জ্যাকব৷
পরে টেরি জানান যে, দীর্ঘ ন’মাস তাঁর গর্ভে একটি নতুন প্রাণ থাকলেও সেটা তিনি কখনোই বুঝতে পারেননি৷ এমনকি কখনো ব্যাথা বা সন্তান হওয়ার কোনও উপশমও তাঁর নজরে পড়েনি৷ বর্তমানে নিজের বয়ফ্রেন্ড জ্যাক ও ছেলে জ্যাকবের সঙ্গে সুখেই রয়েছেন তিনি৷ পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন নিজের জীবনযাপনও৷ ছোট্ট ছেলেকে ঘিরেই তাঁর গোটা পৃথিবী৷ চাইছেন পরিবারকে আরও বড় করতে৷ সত্যিই হয়তো ‘মায়ের মমতা’ এভাবেই একজনের চরিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটায়৷