বাংলাদেশে দরিদ্র নারীর মাতৃত্ব কল্যাণ গবেষণা ও সাহিত্য রচনায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি পদক- ২০১৯ পেলেন বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম নোমান।
রবিবার (২৭ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে ড. দীনেশচন্দ্র সেন গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ এবং আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সেন্টার, ভারত এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এএইচএম নোমান ও ড. বিবিরণ প্রসাদ বড়ুয়া এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
পদক প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে জনাব নোমান জানান, “আমাকে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি পদক-২০১৯ প্রদান করায় পুরস্কার বিতরণকারী কতৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আমাকে এর যোগ্য মনে করেছেন এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। বস্তুত আমি গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের কল্যাণে কাজ করেছি, গবেষণা-সাহিত্য রচনা করেছি হৃদয়ের শান্তির জন্য। এ ব্যতিত আমি অন্য কিছু চিন্তা করেনি বা আমার চিন্তায় আসেনি। তিনি ‘ইতিহাসের কাবিতা’র মাধ্যমে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং কবিতাটি তিনি প্রধান অতিথিসহ সকলকে হস্তান্তর করেন।” তিনি আরো বলেন, ‘‘সকল উন্নয়নের মূলে মা। আমাদের সব উন্নয়ন পরিকল্পনা মাকে ঘেরেই করতে হবে। দরিদ্র মা’দের নিয়ে কাজ করতে আমি সব সময় আনন্দ উপভোগ করি।” তিনি তাঁর আজকের এ সকল প্রাপ্তি বাংলাদেশের দরিদ্র মা’দের উৎসর্গ করেন। তিনি পরিশেষে আয়োজকসহ সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, এ এইচ এম নোমান ডরপ- এর মাধ্যমে গরিব মায়েদের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ভাবক ও অনুশীলনকারী। তার এই কল্যাণকর উদ্ভাবন বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে সারা দেশে বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়াও তিনি দারিদ্র্য বিমোচনে মাতৃত্বকালীন ভাতাকেন্দ্রিক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা। এ কর্মসূচিটিও সরকার পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করেছে। দরিদ্র মাদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সামাজিক বিনিয়োগ করে ‘পাবলিক পুয়র প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে ‘মা সংসদ’ প্লাটফরম পাইলট বাস্তবায়ন করায় ইতোমধ্যে তিনি ‘মাতৃবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হোন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা এর সম্পাদক তাসমিমা হোসেনসহ প্রমুখ।