পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরীফ (৭০)। সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৭৪ সদস্য তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন।
শাহবাজের নিজের দল মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমলসহ বেশ কয়েকটি দলের সমর্থন পেয়েছেন শাহবাজ।
তবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বৃহত্তম দল, সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের উদ্যোগের বিরোধিতা করে সভা থেকে ওয়াক আউট করে।
ইমরান মন্ত্রিসভার সদস্য শাহ মাহমুদ কুরেশি রোববার পিটিআইয়ের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। কিন্তু দলের অন্দরে ভাঙন আঁচ করে শেষ পর্যন্ত সভা থেকে ওয়াক আউটের সিদ্ধান্ত নেন ইমরান অনুগামীরা।
পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার মধ্যরাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটিতে পদচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান। সে সময়ও পিটিআই সদস্যেরা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেছিলেন। ইমরানের বিপক্ষে পড়েছিল ১৭৪টি ভোট।
প্রসঙ্গত, ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদু সংখ্যা’ ১৭২। খাতায়-কলমে ইমরানের পিটিআইয়ের ১৫৫ জন সদস্য থাকলেও তাদের অনেকেই ইতোমধ্যেই বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজের নাম আলোচনায় এসেছিল পাঁচ বছর আগেই। পানামা কেলেঙ্কারির মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তার দল পিএমএল(এন)-এর ভেতরে শাহবাজকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু সে সময় ভাইকে বঞ্চিত করে নওয়াজ বেছে নিয়েছিলেন তার বিশ্বস্ত শাহিদ খোকন আব্বাসীকে।
শাহবাজ পাঞ্জাব প্রদেশের সব থেকে দীর্ঘ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রীও বটে। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভাই নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। তখন থেকেই ভাইয়ের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ শরীফকে নিয়ে দল সামলাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন। নির্বাচিত হন বিরোধী দলনেতা পদে।