রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ

কণ্ঠ ও যন্ত্রের সাহায্যে রাগ পরিবেশনের মাধ্যমে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রমনার বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এর পরপরই সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় রবীন্দ্র সংগীত ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে অমল অমৃতময় নব আলোকে’।

রবীন্দ্র সংগীতের পর একক কণ্ঠে ‘অরুণ-কান্তি কে গো যোগী ভিখারি’ নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর সাড়ম্বরে উদ্‌যাপন শুরু হয় পহেলা বৈশাখের।

এর মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল দর্শক-শ্রোতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

১৯৬৭ সালে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের আয়োজন করে। এরপর এটি হয়ে ওঠে নাগরিক বাঙালির সর্বজনীন উৎসব।

এবারের পরিবেশনে অংশ নেওয়া শিল্পী সংখ্যা ৮০ জন বলে জানিয়েছেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। শিল্পীদের এ সংখ্যা আগে ছিল প্রায় ১১৫ জন।

এবার ছায়ানটের বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সাজানো হয় ৩৭টি আয়োজন দিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান। সঙ্গে ছিল আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।

Print Friendly

Related Posts