রমজানে রোজার পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ, অধিক হারে দরুদ পাঠ, বৃদ্ধদের সেবা শ্রদ্ধা, ফকির মিসকিনদের দান-খয়রাত, বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি নেক আমলে অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে সিটিজেন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি।
১০ এপ্রিল সংগঠনের কার্যালয়ে রোজাদার, এতিম, দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূলদের ইফতার অনুষ্ঠান থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন মুন্সীর সভাপতিত্বে ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হাজী আলী আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঙালি জনতার পার্টি (বিজেপি) এর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মানিকনগর আইডিয়াল বি.এম কলেজের পরিচালক মো. মঈনুদ্দীন ভূইয়া, দৈনিক প্রভাতের সাংবাদিক মো. মহিউদ্দীন মোল্লা, জাতীয় নাগরিক সমাজের মহাসচিব মো. মোশারফ হোসেন ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল সোহাগ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি হাজী আলী আহমেদ বলেন, রহমত, মাগফেরাত ও মুক্তির মাস রমজান। এমাস মানব জীবনে পাপ মুক্ত করার জন্যই রোজার বিধান। বছরের যেকোন সময়ের চেয়ে রমজানে নিজেকে পাপমুক্ত রাখা যায়। রমজানে বান্দা যখন বিগত দিনে কৃত পাপ থেকে তওবা করেন তখন তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। রাসুল (স:) বলেছেন, রমজান পাওয়ার পরেও যারা নিজেদের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পারলনা তাদের চেয়ে দুর্ভাগা আর কেহ নেই।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ দিশেহারা, জনজীবন বিপর্যস্ত। পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম দেশে রমজান মাসের সম্মানে দ্রব্যমূল্যের দাম কামানো হয় অথচ ৯০% মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে কালো বাজারিরা সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের দাম ইচছামত বাড়িয়ে দেয়। সরকারের উচিত কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা।
মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন মুন্সী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সারাদিন উপবাস থেকে সিয়াম পালনের মাধ্যমে রোজাদার তার অভাবগ্রস্থ দারিদ্রপীড়িত অর্ধাহার অনাহারে দিনাতিপাতকারী ভাইদের দু:খ দূর্দশা উপলব্দি করতে সক্ষম হয় এবং তাদের প্রতি সাহায্য সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করার মানসিকতা তার মাঝে জন্ম দেয়। ফলে ধনী গরীবের মধ্যকার বিদ্যমান বৈষম্য দূর হওয়া এবং দারিদ্রমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হয়। সুস্থ মন ও উন্নত মানসিকতার জন্য প্রয়োজন সুস্থ দেহ। রোজা মানব দেহের সুস্থতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিস্কৃতি প্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করার প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের একান্ত কাম্য হওয়া উচিৎ।
ইফতারের পূর্বে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।