কক্সবাজারের ঘোড়া ও লাল কাকড়া নিয়ে আইজিপি সহধর্মিণীর উদ্বেগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অযত্ন-অবহেলায় ঘোড়াগুলো ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছেন মালিকেরা। ব্যবহারের পর স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে এগুলো রক্ষায় কারো সুদৃষ্টি নেই, সৈকতের আনাচে কানাচে তারা ছেড়ে দেন- বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদের সহধর্মিণী ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

এ নিয়ে তিনি কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বুধবার (৮ জুন) কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সম্মেলন কক্ষে এ বিফ্রিংয়ে পুনাক সভানেত্রী বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে অনাদর অবহেলায় পড়ে থাকা ঘোড়াগুলো পুনাকের নজরে এসেছে। ঘোড়াগুলোকে যেভাবে মারধর করে ও টেনে হিচড়ে নিয়ে যায় তা অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ। ব্যথা অনুভূতি বুঝাতে না পারা ঘোড়াগুলোর প্রতি যে অমানবিকতা চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সৈকতে পর্যটকদের চড়ার কাজে ঘোড়াগুলো ব্যবহার করে হরহামেশা টাকা আয় করে যাচ্ছেন মালিকেরা। কিন্তু ব্যবহার শেষ হলেই তাদের যত্রতত্রভাবে ছেড়ে দিচ্ছেন। এরপর খাবারের অভাবে ঘোড়াগুলো মারা যাচ্ছে। এসব ঠেকাতে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করা হবে।

পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন, পর্যটক ও দর্শণার্থীরা সৈকতে লাল কাঁকড়া দেখলেই পা দিয়ে পিষে মারে। এতে জীববৈচিত্র্য ও সৈকতের পরিবেশ নষ্ট হয়। ঘোড়া ও সৈকতের লাল কাকড়ার নিরাপদ আবাস তৈরিতে সবার সহযোগীতা কামনা করছি। বিশেষ করে ঘোড়ার ক্ষেত্রে আমরা সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করবো। যদি কেউ এসব বন্ধ না করে তাহলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে পশু সংরক্ষণের উপর আইন রয়েছে। যা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীও অনেক আন্তরিক।

এসময় কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানা, পুনাক নেত্রী মেহের আফরোজ, মাহমুদা নাজনীন, তৌহিদা নুপুর, সালমা জামান, মাসরুফা তাসনীমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly

Related Posts