৫০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো রেলস্টেশনে সারাদিনে থামে মাত্র দুটি লোকাল ট্রেন। উদ্বোধনের মাত্র ৪ বছরেই নষ্ট হচ্ছে এখানকার মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। স্থানীয় যাত্রীরা তেমন কোনো যোগাযোগ সেবাই এখান থেকে পাচ্ছেন না।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হাইটেক সিটি স্টেশন। সৌন্দর্য, নির্মাণশৈলী আর আধুনিকতায় দেশের অন্যতম সেরা দৃষ্টিনন্দন এই স্টেশনটির নির্মাণ ব্যয় ৫০ কোটি টাকারও বেশি। সাভার ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিদিন ১০-১২ হাজার যাত্রী সেবার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও স্টেশনটি একেবারেই ফাঁকা। বিপুলসংখ্যক যাত্রী থাকলেও বিশাল এই স্টেশনে সারাদিনে থামে ২টি ট্রেন, তাও আবার লোকাল। যেখানে প্রতিদিনের বরাদ্দ মাত্র ৭০-৮০টা টিকিট।
যাত্রী না থাকায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে ভিআইপি অংশের কার্যক্রম। অবহেলা অযত্নে হচ্ছে টিকিট কাউন্টার আর ভিআইপি রুমের যন্ত্রাংশ। ভেঙে গেছে অধিকাংশ কাচের দেয়াল। খুলে পড়েছে মাথার ওপরের মূল্যবান কাচের ছাদও। অবহেলা আর অযত্নে পুরো স্টেশনটাই বেহাল হতে বসেছে।
বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এতো নান্দনিকভাবে গড়ে ওঠা রেলস্টেশন থাকতেও বাসে চলাচল করতে হয়। কেননা এখানে কোন আন্তঃনগর ট্রেন থামে না।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে লোকবল নিয়োগ দিলেই সুফল মিলবে। কিন্তু এখনো এই স্টেশনের লাইন সম্প্রসারণের কাজ বাকিই রয়েছে। প্রতিদিন শতশত যাত্রী এসে ফিরে যায়।
উল্লেখ্য, এই স্টেশনের পাশেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থী এবং প্রযুক্তিকর্মীদের যোগাযোগে এই স্টেশনটি কোনো কাজেই আসছে না। ২০১৬ সালে শুরু হয়ে নান্দনিক এই স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ০১ নভেম্বর জাংশনটি উদ্বোধন করা হয়।