মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের অর্কিড মিটিং রুমে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের আয়োজনে উক্ত কেন্দ্রে চিকিৎসারত রোগীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পারিবারিক সভা আয়োজন করা হয়।
উক্ত সভার আলোচকগন বলেন পরিবারের মনোবল ও রোগ সম্পর্কে সচেতনতা কমাতে পারে মাদকনির্ভরশীলতা। আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসারত রোগীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আয়োজিত নিয়মিত এই কর্মসূচির এবারের আলোচ্য বিষয় ছিলো ‘‘মাদক ব্যবহারজনিত রোগ এবং সহ-ঘটমান মানসিক রোগ’’।
সভার শুরুতে কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে জান্নাত সভার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপরে সভার মূল আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন সভার বিশেষজ্ঞ আলোচক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ডা. মোঃ রাহানুল ইসলাম। তিনি উপস্থাপনায় মাদক ব্যবহারজনিত সমস্যার জন্য যে সকল মানসিক রোগ হয় সে সমস্ত রোগগুলো নিয়ে এবং চিকিৎসাকালীন ও চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা থেকে বের আসার জন্য পরিবারের ভুমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
পরবর্তীতে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আলোচকগন। মুক্ত আলোচনা অংশটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রের কাউন্সেলর জান্নাতুল ফেরদৌস। সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) উর্মি দে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন চিকিৎসাকালীন সময়ে পরিবারের মনোবল ও চিকিৎসায় সহায়তা রোগীকে মাদকনির্ভরশীলতার এই সমস্যা থেকে বের হতে সহায়তা করতে পারে। তিনি সবশেষে বলেন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সবাইকে অংশগ্রহনের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সভায় ১৭ জন রোগীর পরিবার থেকে ২২ জন সদস্য অংশগ্রহন করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন সাইকোস্যোসাল কাউন্সেলর মমতাজ খাতুন। সবশেষে কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফারজানা ফেরদৌসের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সভাটি শেষ করা হয়।
উল্লেখ্য,আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনবার্সন কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে নারী মাদকনির্ভরশীলদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ২ শত নারী বর্তমানে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন।