দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিলো। এবার ঈদুল আজহায় সব খুলে যাওয়ায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো পঞ্চগড়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন দর্শনীয়স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঈদের দ্বিতীয় দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষ দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মোবাইল ফোনে সেলফি আর ছবি তুলতে ভুল হচ্ছে না কারও। পরিবারে কিংবা বন্ধুদের নিয়ে মনের আনন্দে মেতেছেন সবাই।
তেঁতুলিয়া রওশনপুরে জেমকন গ্রুপের কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, আনন্দধারা, সমতলের চা বাগান, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীর পাড়, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, পঞ্চগড় সদরের তালমা রাবার ড্যাম, হিমালয় বিনোদন পার্ক, করতোয়া তীরের সোনার বাংলা পার্ক, ভিতরগড়ের পৃথু রাজার মহারাজার দীঘি সবখানেই দর্শনার্থীদের ভিড়। নতুন পোশাকে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ এসব বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে সময় কাটিয়েছেন।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর তীরের সোনার বাংলা পার্কে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, সবসময়তো অবসর পাওয়াও যায়না। তাই ঈদ এলেই ঘুরতে বের হওয়া হয়। এসময় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও অনেক জনসমাগম হয়। সব মিলিয়ে ভালোই লাগে।
ঐতিহাসিক মহারাজারর দিঘীর পারে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ থেকে এসেছেন ফারহান ইশতিয়াক। তিনি বলেন, সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এখানে এসেছি, বেশ উপভোগ করেছি দিনটা। বিশেষ করে এখানকার সমতল ভূমিতে সারি সারি চা বাগানে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখানকার প্রকৃতি যেন রূপের চাদরে মোড়ানো।
পঞ্চগড় হিমালয় বিনোদন পার্কে স্ব-পরিবারে এসছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ঘুরেছি, সবখানেই বেশ উপভোগ করেছি। এখানে এসেও খুব ভালো লাগছে।
টুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোনের অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবারের ঈদে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোন কাজ করছে। জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমদের টহল অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আগত পর্যটকরা যাতে হয়রানি বা ইভটিজিং এর শিকার না হয় সেজন্য সার্বিকভাবে কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ।